দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ উত্তর কোরিয়া, একনায়কতান্ত্রিক- শাসনব্যবস্থার একটি মডেল দেশ। সেখানে একনায়কের নানান ডিক্রী নিয়েই জনগণকে সব সময় চলতে হয়। এবার উত্তর কোরিয়ার প্রশাসন ঘোষণা দিয়েছে সে দেশের সকল পুরুষ এখন থেকে নিজেদের মাথার চুল কাটবে তাদের নেতা কিম জং উনের মতো করে।
যদিও কোন আইনি সত্যতা পাওয়া যায়নি তবে বিভিন্ন সূত্র এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়ার সংবাদে উঠে এসেছে উত্তর কোরিয়াতে সকল পুরুষ নাগরিককে এখন থেকে নেতা কিম জং উনের হেয়ার স্টাইল অনুসরণ করতে হবে। সে হিসেবে ইতোমধ্যে সে দেশের পুরুষরা নিজদের মাথার চুলের কাট নেতার সাথে মিলিয়ে কাটা শুরু করেছেন।
তবে এক্ষেত্রে কেউ নিজেদের ইচ্ছেতে কাটছেন কেউ আবার ইচ্ছের বিরুদ্ধে যেয়ে বাধ্য হয়ে কাটছেন। উত্তর কোরিয়ার এক নাগরিকের বরাত দিয়ে মেশাবেল জানিয়েছে, “কিম জং উন এর হেয়ার কাট আসলে স্বতন্ত্র, এটি কেবল গোল মুখের পুরুষের জন্যই মানানসই, যাদের মুখ লম্বাটে তাদের জন্য এটি আদর্শ নয়।”
উত্তর কোরিয়ার এক চীনে প্রবাসী নাগরিক বলেন, “কিম জং উন এর যে চুলের স্টাইল এটি ২০০০ সালের আগের সময়ের উত্তর কোরিয়ার চোরা কারবারিদের আদর্শ চুলের কাট চিলো। ফলে এই কাটে জনগণকে বাধ্য করার কোন মানে নেই।”
কোরিয়ার বর্তমান একনায়ক শাসক কিম জং উন এর নামে নানান অভিযোগ রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে নানান স্বেচ্ছাচারিতা সহ নিজের আপন ফুফাকে হত্যা করে কুকুর দিয়ে খাওয়ানোর অভিযোগও রয়েছে। এছাড়া দেশের যেসকল জনগণ কিম জং উন এর কথার অবাধ্য হবেন তাদের কঠিন মৃত্যুদণ্ড দেয়ার কথাও শুনা যায় সে দেশে। ফলে উত্তর কোরিয়াতে কিম জং উন এর কথার অবাধ্য হওয়ার সাহস কারো নেই।
উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়াতে নারী পুরুষের চুলের কাট কেমন হবে তা রাষ্ট্রীয় ভাবে নির্ধারণ করে দেয়ার ঘটনা এটি নতুন নয়। এর আগে সে দেশে নারীদের জন্য ১৮ রকম এবং পুরুষদের জন্য ১০ রকম চুলের হেয়ার স্টাইল নির্দিষ্ট করা ছিল। এর বাইরে কেউ চুল কাটতে পারতেন না।
সূত্রঃ Mashable