দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মালয়েশীয় বিমান নিখোঁজের রহস্য পুরোপুরি উন্মোচিত না হলেও স্যাটেলাইটে একের পর এক বস্তুর সন্ধান মিলছে। গতকাল শুক্রবারও এমন আরও কিছু বস্তুর সন্ধান মিলেছে। তবে বিমানটি অতিরিক্ত গতিতে চলছিল বলে গবেষকরা ধারণা করছেন।
সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, ভারত মহাসাগরে নতুন কিছু এলাকায় একাধিক বস্তু চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছে রয়্যাল নিউজিল্যান্ড এয়ারফোর্সেস অরিয়ন বিমানের অনুসন্ধানকারীরা। গতকাল শুক্রবার দিনভর সম্ভাব্য ধ্বংসাবশেষ অনুসন্ধান শেষে অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য দিয়েছে। যদিও ওই বস্তুই যে নিখোঁজ বিমানের তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। স্যাটেলাইট তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিমানটি অধিক গতিতে গিয়েছে যে কারণে অতিরিক্ত জ্বালানি ব্যয় করে কম দূরত্ব অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার অস্ট্রেলিয়া ও মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘বিশ্বাসযোগ্য কিছু তথ্যে’র কারণে অনুসন্ধানের স্থান পরিবর্তন করে ভারত মহাসাগরের নতুন স্থানে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে।’ ৫টি বিমান মিলে আগের তল্লাশি এলাকা থেকে ১১শ’ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে নতুন করে নির্ধারিত তল্লাশি এলাকাতে বিভিন্ন রঙের একাধিক বস্তু চিহ্নিত করা হয়েছে। চীনের একটি অনুসন্ধানী জাহাজ আজ শনিবারও এই বস্তুসমূহের অবস্থান চিহ্নিত করার জন্য কাজ করবে। এই অনুসন্ধান কাজে ৬টি দেশের অন্তত ১০টি বিমান যোগ দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ৮ মার্চ কুয়ালালমপুর থেকে মালয়েশীয় এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এমএইচ-৩৭০ বিমানটি ২৩৯ আরোহীসহ নিখোঁজ হয়। বিমানটি বেইজিং যাচ্ছিল।