দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৪ দিন অতিবাহিত হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই কিন্তু এখনও জট খোলেনি নিখোঁজ রহস্যের। সর্বশেষ অষ্ট্রেলিয়া বিধ্বস্ত হওয়ার যে তথ্য পাওয়া গেছে সেখানেও এখন পর্যন্ত মেলেনি কিছুই।
বিশেষজ্ঞরা এক এক জন এক এক রকম তথ্য দিচ্ছেন। কেও বলছেন এটি ছিনতাই হয়েছে। আবার কেও বলছেন এটি আসলে বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে কোন কিছুতেই কোন কিনারা পাওয়া যাচ্ছে না। বিমানটি উদ্ধারের জন্য বিশ্বের ২৬টি দেশ কাজ করে যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি ছিনতাই হয়ে থাকে তাহলে বিমানটি লাপাত্তা হওয়ার আগে কোনো বিপদসংকেত দেয়নি কেনো? আবার যদি ছিনতাই হয়েই থাকে তাহলে এতো সূক্ষ্মভাবে কিভাবে ছিনতাই করা সম্ভব, তা পরিষ্কার নয়।
সর্বশেষ পরিস্থিতি হলো- অস্ট্রেলিয়া দাবি করেছে যে, তারা স্যাটেলাইট চিত্রে দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে দু’টি বস্তু দেখতে পেয়েছে। কিন্তু গত দু’দিন ধরে তন্ন তন্ন করে খুঁজেও কোনো আলামত পাওয়া যায়নি সেখানে।
হাইজ্যাকিং না প্যারাজ্যাকিং ঘটেছে বিমানের এমন প্রশ্ন এসেছে এবার। কারণ হাইজ্যাকিং অনেক সময় প্যারাজ্যাকিংও হতে পারে। এমন পরিস্থিতির ক্ষেত্রে অপরাধীরা বিমানের ভেতর ইচ্ছাকৃতভাবে অপরাধ ঘটিয়ে প্যারাসুটের মাধ্যমে বিমান থেকে লাফিয়ে পালিয়ে যেতে পারে।
দ্য ওয়্যার ম্যাগাজিন বিমান নিখোঁজ সম্পর্কে জানিয়েছে, ৯/১১ হামলার পর বাণিজ্যিক পাইলটদের এমন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে, বিমানের যাত্রীদের জীবন যতই হুমকির মুখে পড়ুক না কেনো, ককপিটের দরজা খোলা যাবে না। যদি কোন কারণে দরজা আগে থেকে খোলা থাকে তাহলে বিপদ বুঝতে পারলে পাইলট কিংবা কো-পাইলট ছিনতাইয়ের সর্বজনীন কোড ব্যবহার করতে পারেন। নিখোঁজ বিমানটি ছিনতাই হয়ে থাকলে পাইলটরা সেই কোড কেনো ব্যবহার করলেন না এ প্রশ্ন বিশেষজ্ঞদের। তাহলে কি পাইলটরা নিজেরাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত? কিন্তু কেওই এর সঠিক উত্তর দিতে পারছেন না। আর তাই রহস্যের জট সহজে খুলবে বলেও মনে হচ্ছে না। তবে একটি আশার কথা তা হলো যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেকগুলো দেশ এই বিমান নিখোঁজ ঘটনায় সহযোগিতা করছেন। আধুনিক এই যুগে তাই রহস্যের জট খুলবেই এমনটিই আশা করছেন সকলে।