দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তিমিকে পানির গভীরে খাবারের সন্ধানে অনেকক্ষণ সাঁতার কাটতে হয়। সাম্প্রতিক একটি পিঠে কোণাবিশিষ্ট কুভিয়ার তিমি পানির গভীরে সাঁতারের একটি নতুন রেকর্ড গড়েছে। কুভিয়ার তিমিটি সাগরের প্রায় ২ মাইল গভীরে ২ ঘণ্টা যাবৎ খাবারের সন্ধানে নিঃশ্বাস বন্ধ করে ছিল।
গবেষণার অংশ হিসেবে প্রায় আটটি তিমির গায়ে স্থাপন করা হয় স্যাটেলাইট ট্র্যাকার। ক্যালিফোর্নিয়ার দক্ষিনাঞ্ছলের উপকূলে এই তিমিগুলো সাতার কাটছিলো। তিমির এই প্রজাতিটি এমনিতেই গভীর সাগরে সাঁতারের ক্ষেত্রে বেশ পারদর্শী। কখনো কখনো খাবারের সন্ধানে তারা সাগরের প্রায় ৩৩০০ ফুট গভীরে চলে যেতে পারে। খোলা সাগরের পানিতে সাঁতার কাটা এই তিমিদের চলাচলের উপর গবেষকরা পরীক্ষা চালিয়েছেন। তারা তিমিদের সাগরে সাঁতার কাটা কিংবা গভীর সাগরে ডুব দেওয়ার প্রায় ৩৭০০ ঘন্টার ডাটা সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন। সংগ্রহীত ডাটাগুলো থেকে দেখা যায় যে তিমিগুলো প্রায় ১১০০ বার গভীর ডুব দিয়েছে, এসব ডুবের গড় গভীরতা ছিল ০.৮৭ মাইল বা ১.৪ কিলোমিটার।
তিমিগুলোর মধ্যে একটি তিমি সাগরের প্রায় ২ মাইল গভীরে যেতে সক্ষম হয়েছে এবং এই যাত্রা পথে তার সময় ব্যয় হয়েছে ১৩৭ মিনিট যা দুইঘন্টারও বেশি। এই সময়টুকু তিমিকে নিঃশ্বাস বন্ধ করে রাখতে হয়েছে। স্তন্যপায়ী প্রানীর গভীর সাগরে নিঃশ্বাস বন্ধ করে রাখার ক্ষেত্রে এটা একটা নতুন রেকর্ড। তার আগের রেকর্ডটি ছিল হাতিশুঁড় বিশিষ্ট সীল মাছের। সীল মাছটি প্রায় ১.৫ মাইল সাগরের গভীরে দুইঘন্টা যাবৎ সাঁতার কেটেছিলো।
গ্রেগরি স্কর, উক্ত গবেষণাটির অন্যতম লেখক এই নতুন রেকর্ডটি সম্পর্কে বলেন, “এই সামাজিক উষ্ণ রক্ত বিশিষ্ট প্রাণীটি সাগরের গভীরে এত বেশি সময় দম বন্ধ করে রাখার ফলে স্তন্যপায়ী প্রানীদের ক্ষেত্রে নতুন দিকের উন্মোচন হবে বলে আশা করা যায়।”
তিমি নিয়ে আরো পড়ুনঃ পায়রা নদীতে অর্ধগলিত বিশাল তিমি!
কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো যে, এই পিঠে কোণাবিশিষ্ট কুভিয়ার তিমি বর্তমানে বিপন্নপ্রায় প্রানীদের মধ্যে অন্যতম। সাগরের গভীরে চলাচল করা সাবমেরিনের সোনার রেজোন্যান্সের কারণে এরা বিপদের মুখোমুখি।
তথ্যসূত্রঃ দি টেক জার্নাল