দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চৌদ্দ বছরের কিশোর সুভীর মীরছান্দানী বিজ্ঞান মেলায় একটি গবেষণা পত্র প্রকাশ করেছে। যেখানে সে দেখিয়েছে মার্কিন ফেডারেল সরকার প্রতিবছর মিলিয়ন ডলার বাঁচাতে পারে শুধুমাত্র লেখার জন্য পাতলা অক্ষর ব্যবহার করে। খবরটি গুরুত্বের সাথে প্রকাশ করে এসোসিয়েটেড প্রেস।
মীরছান্দানী পিটাসবুর্গ শহরের বাইরে ওহারা শহরতলীতে বসবাস করে। গ্রাফিক ডিজাইন করতে সে বেশি আগ্রহী। তাই সে ভবিষ্যতে কম্পিউটার বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চায় এবং একই সাথে পরিবেশ বিপর্যয় নিয়ে কাজ করতে চায়। সিক্স গ্রেডে পড়ার সময় সে কাগজ বাঁচানো বা কাগজ কম খরচের বিষয়ে জানতে পেরেছিল। এটি পরিবেশ বিপর্যয়ের সাথে সম্পর্কযুক্ত। কিন্তু সেখানে কালি বাঁচানোর বিষয়ে তেমন কোনো আলোচনা হয়নি। কালির পেছনে খরচ কাগজের চেয়েও বেশি। তাই সে একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে হিসেব করতে শুরু করে যে একেকটি ফন্ট কি পরিমাণ কালি ব্যয় করে। প্রথমদিকে সে র্যান্ডম সেম্পল সংগ্রহ করতে শুরু করে তার মধ্যে রয়েছে তার শিক্ষকদের হ্যান্ডনোট। সেখানে সে সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্য খুজে পায়। তারপর সে সেই সাধারণ বৈশিষ্ট্যের পেছনে যে ধরণের ফন্ট বা অক্ষর কাজ করে তা থেকে চারটি চিহ্নিত করে। তার মধ্যে রয়েছে গ্যারামন্ড, টাইমস নিউ রোমান, সেঞ্চুরি গোথিক এবং কোমিক সান্স। অবশেষে সে সফটওয়্যার ব্যবহার করে বের করে একেকটি ফন্ট কেমন কালি খরচ করে।
গবেষণায় দেখা যায় যে গ্যারামন্ড ফন্ট টাইমস নিউ রোমান থেকে অনেক হালকা। ফলে এটির ব্যবহার বাড়ালে কালি খরচ কম হবে তথা অর্থ ব্যয় কম হবে। বছরে সে আর্থিক পরিমাণ প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কালিতে ফ্রেঞ্চ সুগন্ধি ব্যবহারের ফলে এর আয়তন বেড়ে যায় ফলে ব্যয়ও বেড়ে যায়, সুভীর বিষয়টি ব্যাখ্যা করে এভাবে। কালিতে সুগন্ধি হিসেবে বেশি পরিচিত চ্যানেল নাম্বার ৫ প্রতি আউন্স কিনতে খরচ হয় ৩৮ মার্কিন ডলার বা ৩০৪০ টাকা। একটি এইচপি প্রিন্টারের কালির পেছনে খরচ প্রায় ৭৫ মার্কিন ডলার বা ৬০০০ টাকা। মীরছান্দি আরো দেখিয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিবছর ২১০০০ মার্কিন ডলার বাঁচাতে পারে শুধুমাত্র টাইমস নিউ রোমানের পরিবর্তে গ্যারামন্ড ব্যবহার করে।
তথ্যসূত্রঃ বাজফিড