দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বব্যাপী ৭৬৮ মিলিওন মানুষ নিরাপদ পানির অভাবে ভুগছে। প্রতিদিন ১৪০০ জন করে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু আক্রান্ত হচ্ছে পানিবাহিত রোগে। এমতাবস্থায় আর্থ ভিটরি আবিষ্কার করেছেন ওয়ার্কা ওয়াটার টাওয়ার। এটি বিশুদ্ধ পানির সমস্যা অনেকাংশে সমাধান করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উত্তর-পূর্ব ইথিওপিয়ায় মানুষের বিশুদ্ধ পানির জন্য হাহাকার দেখে ভিটরি এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন। অতঃপর গম্বুজাকৃতির ওয়ার্কা গাছের কার্যকলাপ দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি বানান ওয়ার্কা ওয়াটার টাওয়ার।
এটি মোটামুটি ৩০ ফুট লম্বা হয়। এর মধ্যভাগ ২৬ ফুট চওড়া এবং অগ্রভাগ সরু। এটির ওজন ৮৮ পাউন্ড। দুটি অংশ দ্বারা এর কাঠামো দাঁড় করানো হয়েছে। বাইরের আবরণটি মাঝারি মজবুত অর্থাৎ বাঁকানো যায় এমন বেত অথবা বাঁশ দ্বারা বানানো হয়। এগুলোকে একটার সাথে অন্যটিকে বেঁধে কাজটি সারা হয়। এর ভেতরের দিকে আছে প্লাস্টিকের তৈরি জাল যা ঝুলিয়ে রাখা হয় কমলালেবুর আকৃতিতে।
মূলত বাতাসের জলীয় বাষ্পকে পানিতে পরিণত করার মাধ্যমে এটি কাজ করে। ভেতরের জালে ব্যবহার করা নাইলন এবং পলিপ্রোপাইলিনের তার জলীয় বাষ্পের ঘনীভবনে কাজ করে। পানিতে পরিণত হওয়ার পর চুইয়ে তা ভূমিতে রাখা একটি পাত্রে জমা হয়। এভাবে একটি ওয়ার্কা ওয়াটার টাওয়ার দৈনিক ২৫ গ্যালন পানি সংগ্রহ করতে পারে।
একটি ওয়ার্কা ওয়াটার টাওয়ার বানাতে খরচ পড়বে ৫৫০ ডলারের মতো। চারজনের একটি দল এটি এক সপ্তাহের মধ্যেই বানাতে পারবে। এর উপকরণ গুলো মোটামুটি সবই গ্রামে পাওয়া যায়।
আর্থ ভিটরি কয়েকটি ভিন্ন ভিন্ন স্থানে এটি পরীক্ষা করে ভাল ফলাফল পেয়েছেন। কোন প্রকার উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা ছাড়া এটি অসাধারণ কাজ করছে। এটি যথেষ্ট পরিবেশ বান্ধবও বটে। এখন তিনি অর্থের যোগানদাতার সন্ধানে আছেন, যাতে করে ২০১৫ সালের মধ্যে ইথিওপিয়ায় এটি সব জায়গায় স্থাপন করা যায়।
বর্তমান পৃথিবীর অন্যতম বড় সমস্যা বিশুদ্ধ পানির অভাব। মাটির নিচে থেকে পানি তুলতে গেলে অনেক গভীর পর্যন্ত খনন করতে হয়। যা অনেক ব্যয় স্বাপেক্ষ। এই কারণে গরিব দেশ গুলো অক্ষম। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায়, ওয়ার্কা ওয়াটার টাওয়ার বিশুদ্ধ পানির যোগানে খুব বড় ভূমিকা রাখবে।
সূত্রঃ cnn