দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছয় জন মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী মানুষ খেকো কুমির ধরা পড়ল উগান্ডার ভিক্টোরিয়া লেকের তীরে। এটি পৃথিবীর বৃহত্তম কুমির গুলোর মধ্যে একটি।
কুমিরটি ছয় জন মানুষের প্রাণনাশের পর সাধারণ গ্রামবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। সর্বশেষ বস্কো নাইয়ান্সি নামে এক জেলে এর আক্রমণের শিকার হয়। তার জামা ছেঁড়া অবস্থায় পানিতে ভাসতে দেখা যায়। পরে তার গলিত মৃতদেহ তীরে পাওয়া যায়।
সাধারণ মানুষের আতঙ্কের প্রেক্ষিতে বন্যপ্রাণী সম্পর্কিত কর্মকর্তারা এটিকে ধরার ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তারা একটি হুকে মাংস গেঁথে দিয়ে হ্রদে খুঁজতে থাকে। চারদিন পর তারা কুমিরটি ধরতে সক্ষম হয়। এরপর এটিকে রশি দিয়ে বেঁধে ট্রাকে নিয়ে যাওয়া হয়। এইসময় কাছের কাকিরা গ্রাম থেকে শত্শত মানুষ এটিকে দেখতে আসে।
কুমিরটি ১৮ ফুট লম্বা এবং এক টনের মত ওজন। এটির বয়স আনুমানিক ৮০ বছর। পৃথিবীর বৃহত্তম কুমির গুলোর মধ্যে এটি একটি। এমনকি ফিলিপাইনের রেকর্ড ধারী ২১ ফুট লম্বা কুমিরের চেয়ে এর ওজন মাত্র ৪৭ কেজি কম। ধরার পরে এটিকে মার্কিসন ফলস ন্যাশনাল পার্কে পাঠানো হয়।
আফ্রিকায় মানুষের জন্য তৃতীয় ভয়ঙ্কর প্রাণী কুমির। জলহস্তী এবং সিংহের পরেই এর অবস্থান। এরা মানুষের উপর বছরে ২৭৫ থেকে ৭৪৫ টি আক্রমণ করে। যার অধিকাংশই অবধারিত মৃত্যুর ঘটনা।
কুমির ২০০ মিলিওন বছর ধরে টিকে আছে। এদের গড় আয়ুষ্কাল প্রায় ৪৫ বছর। এটি পানিতে ঘাপটি দিয়ে থাকে। যখনি কোন মানুষ বা প্রাণি পানিতে আসে তখনি শক্তিশালী চোয়াল দিয়ে কামড়ে ধরে পানির নিচে নিয়ে যায়।
সূত্রঃ Dailymail