দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যুক্তরাজ্যের ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার উইল বার্নাড লুকাস আফ্রিকার বতসোয়ানার মাকগাদকিগাদি এলাকার কিছু মিরাক্যাটের সাথে ছবি তুলেছেন। ছবিগুলো দেখে মনে হবে লুকাস মিরাক্যাটদের বন্ধু।
মিরাক্যাট আফ্রিকার এক ধরনের বন্য বিড়াল যা দেখতে অনেকটা বেজির মতো। লুকাস এই ছবিগুলো তোলার জন্য ছয়দিন সময় কাটিয়েছে মিরাক্যাট ও তাদের পরিবারের সাথে। মিরাক্যাটগুলোর বাচ্চারা দিনে দিনে বড় হচ্ছে, তার পাশাপাশি তাদের কৌতূহলও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারা একেক সময় লুকাসের ক্যামেরা ঘাটাঘাটি শুরু করতো যেন তারা বুঝতে চেষ্টা করতো এটি কিভাবে কাজ করে।
যেমনটি বাচ্চা শিশুরা নতুন খেলনা নিয়ে খেলা করে। তাদের পরিবারের সদস্যরা তাদের দেখানো পথে লুকাসের সাথে মিশতে শুরু করলো। মিশে যাওয়ার এক পর্যায়ে তারা লুকাসের কাঁধে উঠে পড়তো এবং দিগন্তের দিকে তাকাতো যে সেখান থেকে তাদের জন্য কোন বিপদ আসছে কিনা।
মিরাক্যাটগুলোর এই আচরণ দেখে মনে হয় তারা অনেককাল আগে থেকেই মানুষের সাথে পরিচিত। মানুষের সাথে তাদের কোন শত্রুতা নেই। তারা মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করতেও কোন ধরনের দ্বিধা করে না। বরং মানুষের কাঁধে উঠে দিগন্তের দিকে তাকানোটা আরো সুবিধাজনক।
মিরাক্যাট দুপায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াতে পারে। তারা গর্তজীবী প্রাণী। গর্তে পরিবারভিত্তিক বসবাস করে। লুকাস বলেন, আপনি যদি কখনো আফ্রিকার প্রান্তরে তাদের দেখা পান তবে আপনার সাবধান হওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ তারা আপনার বন্ধুর মতো আপনার পাশে থাকবে।
বার্নাড লুকাস একজন পেশাজীবী বন্যপ্রাণী আলোকচিত্রী। যিনি আফ্রিকার বনাঞ্চলে আলোকচিত্রী হিসেবে বেশ কয়েক বছর যাবত কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আলোকচিত্রী প্রযুক্তির উন্নয়নেও কাজ করে যাচ্ছেন। আফ্রিকার জঙ্গলে বিপদজনক ছবি তোলার জন্য তিনি তৈরি করেছেন বিটলক্যাম। এটি রিমোট কন্ট্রোল বাগ টাইপ ডিএসএলআর ক্যামেরা। ক্যামট্রাপ্সন লিমিটেড নামক একটি কোম্পানীর প্রতিষ্ঠাতা।
তথ্যসূত্রঃ বোরপান্ডা