ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রয়াত নন্দিত কথা-সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন বলেছেন, হুমায়ুন আহমেদের সব ইচ্ছাই পূরণ করার চেষ্টা করা হবে। বিশেষ করে তার নিজ হাতে গড়া স্বপ্নের নুহাশ পল্লীর সৌন্দর্য রক্ষা করাই এখন তার প্রধান কাজ। হুমায়ুন আহমেদ নুহাশ পল্লীকে যেভাবে রেখেছিলেন ঠিক সেভাবেই এটিকে রাখা হবে। সমপ্রতি নুহাশ পল্লীতে হুমায়ুন আহমেদের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
শাওন বলেন, নুহাশ পল্লীর একটি গাছও যেন নষ্ট না হয় সেই চেষ্টা করা হবে। হুমায়ুন আহমেদ অনেক স্বপ্ন দেখতেন। তার সব স্বপ্ন পূরণ করা কতটুকু সম্ভব হবে তা আমি জানি না। হুমায়ূন আহমেদ নুহাশ পল্লীতে একটি ফিল্ম ইনস্টিটিউট স্থাপন করতে চেয়েছিলেন, আবার নুহাশ পল্লীকে নুহাশ পল্লীর মতোই রাখতে চেয়েছিলেন। হুমায়ুন আহমেদ নুহাশ পল্লীকে শান্তি নিকেতনের আদলে কিছু করতে চেয়েছিলেন। যেখানে প্রাকৃতিক পরিবেশে সঙ্গীত, চলচ্চিত্রসহ নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও লেখাপড়া হবে। তিনি নুহাশ পল্লীতে একটি মিউজিয়াম এবং একটি চিকিৎসা কেন্দ্রও স্থাপন করতে চেয়েছিলেন। নুহাশপলস্নীতে হুমায়ুন আহমেদ স্মৃতি মিউজিয়াম তৈরি করার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে শাওন জানান, তার অভিনয় করার ইচ্ছে আপাতত নেই। তাছাড়া তিনি অনেকদিন ধরেই অভিনয় থেকে দূরে রয়েছেন। হুমায়ুন আহমেদের অপ্রকাশিত বইয়ের ব্যাপারে শাওন বলেন, হুমায়ুন আহমেদ ‘দেয়াল’-এর লেখা প্রায় শেষ করে এনেছিলেন। প্রকাশনা সংস্থা অন্য প্রকাশের কাছে এর লেখা দেয়া আছে। সময়মতো এটি প্রকাশ করা হবে। হুমায়ুন আহমেদের সব চলচ্চিত্রই চ্যানেল আই-এর আর্কাইভে জমা আছে। তিনি অসুস্থ হওয়ার আগেই এগুলো আর্কাইভে জমা দেন বলে তিনি জানান।
শাওন বলেন, হুমায়ুন আহমেদ নিজের বাড়ি বলতে নুহাশ পল্লীকেই বুঝাতেন। এই নুহাশ পল্লীর আয় দিয়ে নুহাশ পল্লীর রক্ষণাবেক্ষণ, কর্মচারীদের বেতন এবং নেত্রকোনায় শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ চলতো। অনেক সময় এর আয় দিয়ে এগুলোর ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব হতো না। তিনি জানান, নেত্রকোনার শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ থেকে ছাত্রছাত্রীরা এবছরই প্রথম এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। স্কুলটি যেন ঠিকমতো চলে সে চেষ্টা করা হবে। স্কুলটি এমপিওভুক্ত করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। শাওন বলেন, সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘ঘেঁটুপুত্র কমলা’ চলচ্চিত্রটি অস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে। যা একটি বিশাল অর্জন। হুমায়ূন আহমেদ মৃত্যুর আগে ছবিটিকে বড় পর্দায় মুক্তির জন্য বলেছিলেন। তার চাওয়া পূরণ হয়েছে। হুমায়ুন আহমেদের কোন ছবি মুক্তি পেলে তিনি সকলকে নিয়ে ঐ ছবির প্রিমিয়ার শো দেখতেন।