দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিতাকৃমি হলো লম্বা সূতার মতো এক প্রকার জীবানূ যা দৈহিক বৃদ্ধির জন্য কোন একটি পোষকদেহের ভেতর বিস্তার লাভ করে। ঝিঝি পোকা হলো এই ধরনের ফিতাকৃমির পোষকদেহ।
ঝিঝিপোকার দেহে এটি বংশবৃদ্ধি করলেও মজার বিষয় হলো এটি ঝিঝিপোকার জন্য একটি দুঃস্বপ্ন। ফিতাকৃমিটি একঝাঁক আকারে প্রাপ্তবয়স্ক ঝিঝিপোকার দেহে প্রবেশ করে এবং খুব দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে থাকে। এটি পোষক দেহের ভেতরে একটি অংশ দখল করে নেয় এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ে পোষকদেহের ভেতর থেকে বের হয়ে আসে। এটি প্রায় মাইনাস ৭৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারে। এতো কম তাপমাত্রায় নিজেকে টিকিয়ে রেখে উপযুক্ত পরিবেশের জন্য অপেক্ষা করে। এই ফিতাকৃমিটির পোষক হিসেবে বেশিরভাগ সময় ব্যবহৃত হয়ে থাকে বিভিন্ন প্রকার পোকা এবং জলজ প্রানী। একটি প্রাপ্ত বয়স্ক ফিতাকৃমি যেমন নেমাটোমর্ফা নিজের শারীরিক বৃদ্ধি করে থাকে ঝিঝিপোকার মতো বিভিন্ন ধরনের পোকার দেহে। এটি পোষকদেহকে বেশ নিপুণভাবে নিজের কাজের জন্য ব্যবহার করে।
ফিতাকৃমি তার ভয়ংকর জীবনচক্রের একটি বড় অংশই অতিবাহিত করে পোষকদেহের অভ্যন্তরে। ঝিঁঝিঁপোকার শরীরে এই ফিতাকৃমি প্রবেশের পূর্বে ডিম পাড়ে, তারপর এই ডিমের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে লার্ভা। এই লার্ভার জন্য প্রয়োজন হয় উপযুক্ত পরিবেশ। কারণ তার বহিরাবরণের সিস্টটি বাইরের পরিবেশে টিকে থাকতে পারে না। তাই এই লার্ভাগুলো ঝিঁঝিঁপোকার খাদ্য হয়ে ঝিঝিপোকার শরীরে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে লার্ভার এই অংশটি ঝিঝিপোকার শরীরের ভেতর জীবনচক্রের বাকী অংশটি সম্পন্ন করে।
পরীক্ষাগারে ফিতাকৃমির এই জীবনচক্রটি থেকে দেখা যায় এটি পোষকদেহের স্বাভাবিক জীবনের বিপুল ক্ষতি করে থাকে। এর আক্রমণের ফলে পোষক প্রানীগুলোর অস্তিত্ব প্রায় হুমকির মুখে। আমরা যদি মনে করি যে এই লার্ভাদের মাঠ থেকে দূরীভূত করবো তবে আমাদের এই ধারনাটি ভুল হবে কেননা ততক্ষণে অনেক লার্ভাই পোষকদেহের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ফেলেছে।
ভিডিওতে আরো দেখুনঃ
তথ্যসূত্রঃ দি টেক জার্নাল