দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি একদল গবেষক স্টিম কোষ থেকে মানুষের ত্বকের একটি পরত তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। যার কোষগুলো মানুষের শরীরের কোষের মতই। ফলে ভবিষ্যতে মানুষের ত্বক প্রতিস্থাপন সম্ভব হবে।
লন্ডনের কিং’স কলেজের একদল বিজ্ঞানী স্টিম কোষকে ত্বকে রূপান্তরিত করেছে। এটি আসল ত্বকের মতই তরল পদার্থের চলাচলে বাধা দেয়। মানুষের শরীরের বাইরের ত্বককে বলা হয় এপিডার্মিস। এর কাজ হচ্ছে শরীরের আদ্রতা ধরে রাখা এবং রোগজীবাণু প্রবেশে বাধা দেওয়া।
বিজ্ঞানীরা গত কয়েক বছর ধরে রোগনির্ণয়ে বা পরীক্ষার জন্য জীবদেহ থেকে কোষকলা কেটে বা চেঁচে নেওয়া কোষ থেকে এপিডার্মিস উৎপাদনে সক্ষম ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক এই আবিষ্কার এইক্ষেত্রে আরো অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছে। গবেষকেরা এপিডার্মিসে একধরনের কোষ পেয়েছেন যা থেকে অসীম সংখ্যক বার ত্বক প্রক্রিয়াকরণ করা যাবে। এছাড়া তারা এই কম আদ্রতাপূর্ণ স্থানে এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করায় এটি আসল ত্বকের মত তরল প্রবাহে বাধা দিবে।
গবেষক দলের প্রধান ডঃ ডাস্কো ইলিকের মতে, “নতুন ঔষধ, কসমেটিকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা যাবে। এটি সস্তা এবং পুনরুৎপাদন করা যায়। এই একই প্রক্রিয়া চর্মরোগের নতুন চিকিৎসা হতে পারে। ত্বকের তরল চলাচলে বাধা দেওয়ার সিস্টেম সাধারণ ভাবে কিভাবে সৃষ্টি হয়, কিভাবে এটি বিভিন্ন চর্মরোগের দ্বারা আক্রান্ত হয় এবং কিভাবে এর চিকিৎসা করা যায় তা এই মডেলের মাধ্যমে বুঝা গেছে।
আরেকটি দিক হল, এরফলে গবেষণার কাজে পশুর চামড়ার ব্যবহার বন্ধ হবে। এতে পশু নিধন মোটামুটি কমবে। এতদিন যাবত খরগোশ, শুয়োর, ইঁদুরসহ বিভিন্ন প্রনি ব্যবহার করা হত। এখন থেকে নতুন উদ্ভাবিত ত্বকই ব্যবহার করা হবে। তাই দ্য হিউম্যান সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল এই আবিষ্কারকে স্বাগত জানিয়েছে।
সূত্রঃ BBC