দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মনে করুন আপনি একফোটা সাগরের পানি গিলে ফেললেন। আপনি যদি মনে করে থাকেন শুধুমাত্র কিছু লবণাক্ত পানি গিলে ফেলেছেন তবে আপনার ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। কারণ একফোটা সাগরের জলে রয়েছে নাম না জানা অনেক ছোট ছোট প্রাণীর লার্ভা, ছোট ছোট উদ্ভিদ যাদেরকে আমরা ফাইটোপ্লাংটন হিসেবে চিনি।
‘ডেভিড লিস্টজওয়াগার’ একজন মেরিন বায়োলজির পুরুস্কারপ্রাপ্ত ফটোগ্রাফার। তিনি সাগরের একফোটা জলের অসাধারণ একটি ছবি তুলেছেন। তার এই ছবিটি ২৫ গুণ বিবর্ধিত করে দেখা যায় সাগরের একফোটা জলে রয়েছে অনেক নাম না জানা প্রাণীর লার্ভা আর ক্ষুদ্র জলজ উদ্ভিদ। সাগরের একফোটা জলে লবণাক্ত স্বাদ থাকলেও তা শুধুমাত্র লবণই বহন করে না। এতে রয়েছে ব্যাকটেরিয়া, কৃমি, মাছের ডিম, কাঁকড়ার লার্ভা, ডায়াটম এবং ফাইটোপ্লাংটন। সাগরের এক ফোটা জলে থাকা বিভিন্ন ক্ষুদ্র প্রাণীর আলাদা বৈশিষ্ট্য নিম্মে তুলে ধরা হলো।
১. কাঁকড়ার লার্ভা
কাঁকড়ার লার্ভা বেশ স্বচ্ছ ফলে তাদেরকে ২৫গুণ বিবর্ধন ছাড়া নির্ধারণ করা সম্ভব ছিল না। বিবর্ধনের পর তাদের ভালোভাবে সনাক্ত করা যায়। এদের আকার কয়েক মিলিমিটারের বেশি নয়। কাঁকড়া আর্থোপোডা পর্বের প্রাণী।
২. সায়ানোব্যাক্টেরিয়া
জলের ফোঁটায় সায়ানোব্যাক্টেরিয়াকে ফিলামেন্টের বাতির টাংস্টেনের মতো মনে হয়। সায়ানোব্যাক্টেরিয়া হলো এক ধরণের প্রাককোষী প্রাণী। অর্থাৎ পৃথিবীতে প্রাণ সৃষ্টির শুরু থেকে এদের অবস্থান রয়েছে। তাছাড়া এরা ফটোসিন্থেসিস প্রক্রিয়ায় নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করে থাকে। সাগরের জলে অক্সিজেন উৎপাদনে তাদের ভুমিকা সবচেয়ে বেশি।
৩. ডায়াটম
দেখতে অনেকটা বক্সের মতো, মূলত বিভিন্ন শৈবাল এবং সিলিকা কোষে এরা তৈরি হয়ে থাকে। মারা যাওয়ার পর এরা সাগরের তলদেশে তলিয়ে যায়।
৪. জুপ্লাংটন
কোপিপডগুলো মূলত জুপ্লাংটন হিসেবে বেশি পরিচিত। এরা দেখতে অনেকটা চিংড়ির মতো। সাগরের জলে থাকা সবচেয়ে বেশি প্রাণীটি হলো এই কোপিপড নামক জুপ্লাংটন।
তাছাড়া আরো রয়েছে প্লাংটন পর্বের প্রাণী সায়ানোগ্যাথ। বিভিন্ন মাছের ডিম এবং সাগরের জলে বংশবৃদ্ধি করা কৃমি। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে এই সকল প্রাণী দুর্গম পরিবেশে টিকে থাকার ক্ষমতা রয়েছে। কেননা সাগরের লবণাক্ত জলে টিকে থাকার মতো তাদের সামর্থ্য রয়েছে।
তথ্যসূত্রঃ বোরপান্ডা