দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাম্প্রতিক সময়ে মালয়েশীয়া গমনেচ্ছুদের নিয়ে নানা অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় কম খরচে মালয়েশীয়া যাওয়ার যে ব্যবস্থা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় করেছে সেটিকে পুঁজি করে এক শ্রেণীর প্রতারক চক্র মেতে উঠেছে। তারা এসএমএসের মাধ্যমে গমনেচ্ছুদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন প্রচুর অর্থ।
এই বিষয়গুলো ধরা পড়ার পর জিটুজি প্রক্রিয়ায় মালয়েশীয়া গমনেচ্ছু কর্মীদের এসএমএস এর মাধ্যমে প্রতারণা সংক্রান্ত বিএমইটি নোটিশ দিয়ে সাবধান করে দিয়েছেন।
ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “জি-টু-জি প্রক্রিয়ায় সরকারিভাবে মালয়েশীয়া গমনেচ্ছু কর্মীদের মোবাইল নম্বরে ভুয়া এসএমএস প্রেরণের মাধ্যমে কর্মীদের নিকট হতে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। “মালয়েশিয়ার ভিসা এসেছে” মর্মে এসএমএস পাঠিয়ে ব্যাংকে বা নগদে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা দেয়ার জন্য প্রতারক চক্রটি কর্মীদের প্ররোচিত করছে। এ ধরনের এসএমএস বার্তার ফাঁদে না পড়ার জন্য বিএমইটির পক্ষ হতে সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য যে, মালয়েশিয়ায় হতে ভিসা প্রাপ্তির পর বিএমইটি হতে সরাসরি কর্মীদের মোবাইলে ফোনে এসএমএস বার্তা প্রেরণ ও প্রয়োজনে ফোন করা হয়। অভিবাসন ব্যয়ের অর্থ শুধুমাত্র “প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, কাকরাইল শাখা, বিএমইটি ভবনে” রশিদের মাধ্যমে জমা নেয়া হয়। সরকারিভাবে মালয়েশীয়ায় অভিবাসন সংক্রান্ত যেকোন প্রয়োজনে নিম্নবর্ণিত ফোন নম্বরসমূহে যোগাযোগ করা যাবে- ৯৩৬১৬৯৬, ০১৭১৫২২৮৩০৭।”
উপরোক্ত নোটিশ থেকে এটি স্পষ্ট যে একমাত্র “প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, কাকরাইল শাখা, বিএমইটি ভবনে” ছাড়া অন্য কোথাও বা কারো ব্যক্তি একাউন্টে অর্থ জমা দেওয়ার নিয়ম নেই। কেও এটি করলে তিনি প্রতারণার শিকার হবেন। এ বিষয়ে জন সাধারণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।