দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গ্রীষ্মের এই সময় রোদের তাপদাহ আমাদের ত্বকের গভীর থেকে গভীরে গিয়ে প্রভাব ফেলে। রোদের প্রচণ্ড এই তাপমাত্রা শরীরের মধ্যে যন্ত্রণাদায়ক অনুভূতি সৃষ্টি করে থাকে। কিছু কিছু পন্থা অবলম্বন করলে আপনি এই গরমে যন্ত্রণাদায়ক অনুভূতি থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।
গরমের এই সময়ে একটি আর্দ্রতাপূর্ণ দিনে আপনার ত্বকে লবণাক্ততা সৃষ্টির পেছনে রয়েছে মাংসপেশির মধ্যে রক্তের প্রবাহ। কেননা বাইরের প্রচণ্ড তাপে আপনার শরীরকে একটি বিপদজনক অবস্থা থেকে রক্ষা করতে শরীরের রক্তপ্রবাহ বেড়ে যায়। তারমানে এই যে, রক্তপ্রবাহের মাত্রা যখন কমতে শুরু করবে তখন তা আপনার শরীরের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। যখন আপনার ত্বক বাইরের তাপে জর্জরিত তখন মাংসপেশির এনজাইম ভাঙতে শুরু করবে এবং শরীরের সঞ্চিত শক্তি গ্লাইকোজেন আরো বেশি হারে পুড়তে থাকবে। এর কারণ শরীরের ভেতরের পরিস্থিতি যেন স্বাভাবিক থাকে। বাইরের এই প্রচণ্ড তাপে নিজেকে কি করে সুস্থ রাখবেন তার কয়েকটি পন্থা এখানে তুলে ধরা হলো।
দিনের শুরু করতে পারেন ফলসমৃদ্ধ খাবার খেয়ে। অর্থাৎ সকালের নাস্তায় কিছু ফলজাতীয় খাবার রাখুন। গ্রীষ্মের সময় অনেক ধরনের ফল পাওয়া যায় যা শরীরের ত্বকের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখে। যেমন, তরমুজ, পেঁপে, আম। সাইট্রাসসমৃদ্ধ ফল শরীরের ভেতরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে। তাই সুযোগ পেলেই একগ্লাস লেবুর শরবত খেতে পারেন। যা আপনার শরীরের চাঙ্গাভাব ফিরিয়ে আনবে। হালকা খাবার গ্রহণ করুন। আপনি যদি ভারী খাবারের প্রবণতা থেকে থাকে তবে হালকা খাবার কয়েকবার করে গ্রহণ করতে পারেন।
রাতের ভারী খাবারে সালাদ রাখতে পারেন। গ্রীষ্মের সবজি, লেটুস এবং শসার মিলিত সালাদটি এই সময়ে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে। কারণ এই ধরনের সবজিতে থাকে প্রচুর পরিমাণ পানি। যা গরমের দাবদাহে শরীরের মধ্যে পানির চাহিদা পূরণ করে।
গরমের এই সময়ে শরীর প্রচণ্ড ঘামায়। ফলে শরীর থেকে বেরিয়ে যায় প্রয়োজনীয় পানি ও লবণ। এর ফলে আপনার শরীর হয়ে পড়ে অবসন্ন এবং ক্লান্ত। দেখা দেয় নানা ধরনের উপসর্গ যেমন, মাথা ধরা, মাথা ঘোরানো এইগুলো হলো হিটস্ট্রোকের লক্ষণ। এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে আপনি সবসময় সাথে রাখতে পারেন স্যালাইন পানি কিংবা গ্লুকোজ পানি। কেননা স্যালাইন পানি আপনার শরীরের লবণের ঘাটতি দূর করবে। অপরদিকে গ্লুকোজ পানি রোদের তাপে বের হয়ে যাওয়া শক্তির ঘাটতি পূরণ করবে।
যদি বাইরে রোদের তাপে আপনার ত্বক জ্বালাপোড়া করে তবে ত্বকের পুড়ে যাওয়া অংশে কিছু পেঁয়াজের রস লাগিয়ে দিন। পেঁয়াজের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার ত্বকের জ্বালাপোড়া প্রশমিত করবে।
অনেকেই রোদের মধ্যে চলাফেরা করলে ঘামাচিতে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাদের ক্ষেত্রে ঘামাচি নিরোধক পাউডার ব্যবহার করেও ভালো ফল পাওয়া যায় না। এই জন্য আপনি ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে পারেন।
ঢোলাঢালা পাতলা সুতি কাপড় পরিধান করুন। কেননা আপনি বেশি ঘামাচিতে আক্রান্ত হলে ভারী কাপড়ের ঘষায় শরীরে ইনফেকশন হতে পারে।
গরমের এই সময়টায় লেবুর শরবত বেশ কার্যকর। এটি ঠাণ্ডা রাখে। দিনে কয়েকবার লেবুর রসের শরবত খেতে পারেন। কিন্তু যাদের এসিডিটির সমস্যা রয়েছে তারা এই ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা ভালো।
তথ্যসূত্রঃ নিউট্রিশানভিস্তা
This post was last modified on জুন ১১, ২০২০ 9:44 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন যে, ইসরাইলকে ফিলিস্তিনের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মূলত এই ছবিটি একটি হাতে আঁকা কার্টুন। তবে গল্পটি বহুপুরনো…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জীবন-যাপনে কিছু নিয়ম করে চলা উচিত। কারণ নিয়ম করে না…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনলাইনে যে কোনো অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখার জন্য প্রয়োজন হয় পাসওয়ার্ড।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৪৪তম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের প্রতিযোগিতা বিভাগে জায়গা নিয়ে আলোচনায়…