দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্রের ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটাররা তাদের ভোট দিয়ে বের হওয়ার পর একটি ছোট স্টিকার তুলে দেওয়া হয়। এর মানে হলো তিনি একজন ভোটার যিনি ভোট দিয়েছেন। ফেসবুক এই তথ্য ডিজিটালি অনলাইনের মাধ্যমে প্রকাশের জন্য নিয়ে এসেছে ‘আই এম ভোটার’ বাটন।
২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় এই পদ্ধতিটি চালু করেছিল। এই সময় যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৯ মিলিয়ন মানুষ এটি ব্যবহার করেছিল। এবারের ভারতের নির্বাচনে ফেসবুক এই বাটনটি আবার নিয়ে এসেছে এবং ভারতে এটি ব্যবহৃত হয়েছে। ৪ মিলিয়ন ভারতীয় নাগরিক এই বাটনটি ব্যবহার করেছে এবারের ভারতের নির্বাচনে। এই জনপ্রিয়তার পরিপ্রেক্ষিতে ফেসবুক এবার গ্লোবালই এই বাটনটি ব্যবহারের চিন্তা করছে। অর্থাৎ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই বাটনটি ব্যবহারের মাধ্যমে নাগরিকগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে থাকবেন। ইতিমধ্যে ফেসবুক তাদের এই বাটনটি কলম্বিয়া, ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট, সাউথ কোরিয়া, স্কটল্যান্ড, সুইডেন, নিউজিল্যান্ড, ব্রাজিল এবং ইন্দোনেশিয়ার নির্বাচনে ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে।
নাগরিকদের ক্ষেত্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের এটি একটি অন্যতম পন্থা হিসেবে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এবং পাবে তা ধরে নেওয়া যায়। বিখ্যাত গার্ডিয়ান পত্রিকার একটি জরিপে দেখা যায় যে, ফেসবুকের এই বাটনটি মানুষদের কিংবা ব্যবহারকারীদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করে থাকে। ২০১০ সালের যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে এটি বেশি দেখা গিয়েছে যে, পূর্বের চেয়ে ৩৪০০০ বেশি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। জেমস ফোউলার, একজন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, ফেসবুক তরুণদের রাজনৈতিক কাজে মোটিভেট করে থাকে।
ফেসবুক মনে করে ভোটাধিকার মানুষের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক অধিকার। এই বাটন চালু হওয়ার ফলে এর ব্যবহারকারীদের ভোট দিতে আরো অনুপ্রাণিত করবে। কেননা ফেসবুক মনে করে ভোটের এই অধিকারটি কারো নষ্ট করা উচিত নয়।
তথ্যসূত্রঃ ম্যাশেবল