দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিয়েকে অনেকে বলে থাকেন; ‘দিল্লীকা লাড্ডু, খেলেও পস্তাবেন না খেলেও পস্তাবেন।’ তবে আপনি জানেন না বিয়ে না করে বা না হওয়াতে আপনি কতটা সুখী। এই বিষয়ে অনেক বিখ্যাত মনীষী তাদের মতমত দিয়ে গেছেন বিয়ে না করে সুখী থাকার পক্ষে।
বিয়ে না করে আপনি মোট কথায় অনেক সুখী আছেন। কেনো সুখী? একটু ভাবুন, নিজে ভেবে না পেলে আমরাই আপনাকে জানাচ্ছি কেন আপনি বিবাহিতদের থেকে সুখী।
১) বাঁধাহীন জীবনঃ
আপনি কি একবার ভেবে দেখেছেন আপনি কতটা স্বাধীন জীবন যাপন করতে পারছেন কেবল বিয়ে না করার কারণে? হ্যা যখন ইচ্ছে স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়ানো, নিজের ইচ্ছে মত সময় কাটানো। ঘুম থেকে শুরু করে গোসলে যাওয়া সব কিছুতেই কারো খবরদারী নেই। একবার ভেবে দেখুন তো আপনি যদি বিবাহিত হন তবে এভাবে কি লাইফ স্টাইল পালন করা সম্ভব হত?
২) বন্ধু, আড্ডা, গানঃ
বিয়ের পর এসবে অনেকটাই অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা হয়ে যায়। একবার ভেবে দেখুন আপনি অবিবাহিত অবস্থায় কতনা স্বাধীনতা ভোগ করছেন। বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়া, আড্ডা দেয়া, পাড়ার দোকানে বসে চা খাওয়া কিংবা বন্ধুদের সাথে রাত জেগে মুভি দেখা! সব কিছুই বিয়ের পর অনেকটাই নিষিদ্ধ হয়ে যায়।
৩) নানান প্রশ্নের থেকে নিজে দূরে আছেনঃ
যারা প্রশ্নের জবাব দিতে অনাগ্রহী কিংবা অযাচিত প্রশ্ন যেমন, কোথায় ছিলে? কেন ছিলে? কি কাজে ছিলে? দেরি হলো কেনো? ফোন বন্ধ ছিলো কেনো? এসব প্রশ্ন থেকে বাঁচতে পারছেন আপনি কেবলমাত্র অবিবাহিত থাকার কারণেই।
৪) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বাধীনতাঃ
যখন বিয়ে করবেন আপনার ফেসবুক আইডি আগের মত থাকবেনা। অনেকটাই ফেসবুকে কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে আপনার মনে হবে বন্ধি পিঞ্জর। আপনি চাইলেই স্বাধীনভাবে লাইক কমেন্ট করতে পারবেন না। আপনার সব কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করবে অন্য কেও।
৫) ইচ্ছে মত ঘুরে বেড়ানোর স্বাধীনতাঃ
বিয়ের আগে আপনি যখন যেখানে খুশি বন্ধুদের সাথে চলে যেতে পারছেন। কি রাত কি দিন! ইচ্ছে হলো চলে গেলেন কক্সবাজার কিংবা বান্দরবান কে ঠেকায় আপনাকে? তবে বিয়ে করলেই এই সুযোগ আপনি আর পাচ্ছেন না।
উপরের সব কারণ কেবল মাত্র অবিবাহিত মানুষের দৃষ্টিতে বিশ্লেষণ করা হল। এর বাইরেও বিবাহিত জীবনে আপনি এমন অনেক সুখ পেতে পারেন যা হয়ত অবিবাহিত জীবনে পাবেন না। সে বিষয়ে বিস্তারত অন্য দিন জানাব। তবে দুটি দুই ধরণের লাইফ স্টাইল। এখন আপনি কেমন জীবন কাটাবেন তা একান্ত আপনার ব্যক্তিগত বিষয়। আপনিই আপনার জীবন নিয়ে সুখে থাকবেন এবং এখানে অন্য কারও কিছু শিখিয়ে দেয়া বা দেখিয়ে দেয়া অমূলক।