দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পরীক্ষা হতে না হতেই রেজাল্ট আবার রেজাল্ট হতে না হতেই ভর্তিযুদ্ধ। অভিভাবকদের যেনো কোনো কিছুতেই কোনো স্বস্থি নেই! আজ শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের শিক্ষার্থীদের ভর্তিযুদ্ধ।
পাস করা যতোটা সহজ ভর্তি হওয়া কিন্তু ততটা সহজ নয়। বর্তমানে দেশে যে পরিমাণ শিক্ষার্থী পাশ করে বের হচ্ছে সে তুলনায় কলেজ নেই। বিশেষ করে মানের দিক দিয়ে ভালো এমন কলেজ হাতে গোনা। আর এ প্লাস বা গোল্ডেন এ প্লাসের সংখ্যা তো এখন অগুন্তি। এমন একটি পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা কোথায় ভর্তি হবে তা নিয়ে চিন্তিত অভিভাবকরা। তাদের কাছে পাশ করা সন্তানরা এখন ‘গলার কাটা’।
এর মূল কারণ ভালো কলেজের সংখ্যা। সবাই ভেবে থাকেন তাদের সন্তানরা একটি ভালো কলেজে ভর্তি হবে। কিন্তু সবার সে আশা কি পূরণ হবার? এমনই এক পরিস্থিতিতে আজ থেকে শুরু হচ্ছে ভর্তি যুদ্ধ। এ যুদ্ধে কেও জিতবে কেও হারবে। বাকি সবাইকে নিয়তির উপর ভরসা করতে হবে।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবছর ১৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩১ জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এরা একাদশ শ্রেণীর ভর্তি যুদ্ধ শুরু করছে আজ বুধবার থেকে। উচ্চ মাধ্যমিক ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির জন্যে আজ ২৮ মে থেকে আগামী ১২ জুন পর্যন্ত ভর্তি ফরম উত্তোলন এবং জমা দেওয়া যাবে। আগামী ১ জুলাই থেকে ক্লাস শুরু হবে একাদশ শ্রেণীর। বোর্ড সূত্রে বলা হয়েছে, ভর্তির জন্য নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী ২২ জুন। একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য এবারও ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে না। এবারও শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক এবং সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতেই ভর্তি করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী, দেশের সব শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কলেজগুলোতে মোবাইল অপারেটর টেলিটকে এসএমএস পাঠিয়ে ভর্তির আবেদন করতে হবে। ভর্তি নীতিমালা, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে (www. dhakaeducationboard.gov.bd) অনলাইনের ভর্তির ব্যাপারে নির্বাচিত কলেজের তালিকাসহ সকল তথ্য থাকবে। ভর্তি ফরমের জন্য ১২০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
ওয়েবসাইটের ফরম পূরণ করে ভর্তির কাজ সারতে হবে। বাকিটা অপেক্ষা করা ছাড়া কোনো গত্যান্তর নেই। পরীক্ষার পর অভিভাবকদের চিন্তার অন্ত নেই। বিশেষ করে যারা এ প্লাস পাননি তাদের সন্তানদের নিয়ে আরও বেশি সমস্যায় পড়তে হবে। আবার যারা এ প্লাস বা গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছেন তাদেরও সমস্যা রয়েছে। কারণ ভালো কলেজগুলোতে এক একটিতে ১ বা দেড় হাজার আসন থাকে। সেখানে ১০ হাজার আবেদন জমা পড়ে এমনও দেখা যায়। সেক্ষেত্রে অনেক সময় মেধাবী শিক্ষার্থী বাদ পড়ে যান ভালো কজেল থেকে।
শুধুমাত্র ঢাকা বোর্ডেই জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৬ হাজার ৭৯৫ জন। শুধু জিপিএ-৫ পাওয়া মেধাবীদের আসন করে দেয়ার মতো প্রতিষ্ঠান ঢাকা ও দেশের বড় শহরগুলোতে একেবারেই নেই। রাজধানীতে ভালো মানের ১৫ হতে ১৭টি কলেজে আসন আছে মাত্র ১২ হতে ১৫ হাজার। ফলে জিপিএ-৫ পাওয়া এসব শিক্ষার্থীরাও ভালো কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবে না এটি নিশ্চিত। এমন এক পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের চিন্তার অন্ত নেই। এখন তারা শুধুই ভাগ্যের ওপর ভরসা করে বসে আছেন। আর এই ভাগ্য শেষ পর্যন্ত কোথায় নিয়ে গিয়ে দাঁড় করাবে তা কেও জানে না।