দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের গবেষকরা কৃত্রিম রক্ত উদ্ভাবনের দাবি করছেন। তারা আরো বলছেন, মানুষের জীবন বাঁচাতে এই কৃত্রিম রক্ত যেকোনো গ্রুপের মানুষের শরীরে প্রবেশ করানো যাবে। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট গিজম্যাগের বরাত দিয়ে এই তথ্যগুলো জানা যায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও এর তথ্যমতে, প্রতিবছর সারাবিশ্বে রক্তদান কর্মসূচির মাধ্যমে ১০ কোটি ৭০ লাখ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করা হয়। মানুষের জীবন রক্ষার্থে এই রক্তগুলো ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এর পরেও রক্তের চাহিদা মেটানো সম্ভব হয় না। বিশেষকরে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রয়োজনের সময় রক্ত পাওয়া যায় না। তাছাড়া মাদকসেবীরা তাদের রক্তের কোন ধরনের পরীক্ষা ছাড়া রক্ত সরবরাহ করার ফলে এই সকল রক্ত থেকে আরো ভয়ানক রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশংকা থাকে। এই ভারসাম্যহীনতা দূর করার লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যের এসেক্স ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বিকল্প কৃত্রিম রক্ত উদ্ভাবন শুরু করেন। গবেষকদের দাবি, এই কৃত্রিম রক্ত নিরাপদ এবং ভাইরাসমুক্ত। হায়েম ০২ নামের একটি প্রকল্পের অধীনে কৃত্রিম রক্ত তৈরি কাজ শুরু হয়। এই কৃত্রিম রক্ত সংরক্ষণের জন্য বিশেষ তাপমাত্রার প্রয়োজন হয় না। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় প্রায় ২ বছর এই রক্ত সংরক্ষণ করে রাখা যায়।
এই প্রকল্পের প্রধান এই প্রকল্প সম্পর্কে ব্যাখা করতে গিয়ে বলেন, দীর্ঘদিন সংরক্ষণে রাখা সম্ভব বলে এই রক্ত বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যবহার করা সম্ভব হবে। এই রক্তের জন্য গ্রাহকের শরীরের রক্তের গ্রুপ নির্নয় করার প্রয়োজনীয়তা নেই। ফলে যেকোনো গ্রুপের মানুষের শরীরে এই রক্ত প্রয়োগ করা যাবে। তিনি এই বিষয়ে আরো বলেন, কৃত্রিম রক্তকে বলা হয় হিউম্যান ব্লাড অক্সিজেন ক্যারিয়ার। যা রক্তের লোহিত কণিকার ভূমিকা পালন করতে পারে। শরীরের টিস্যুতে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়াই হবে এর কাজ।
গবেষক দল বলেন, তাদের এই উদ্ভাবনটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে, বাণিজ্যিকভাবে এই রক্ত আরো সহজলভ্য হতে আরো কিছুদিন সময় লাগবে। তবে আশার কথা হলো যুক্তরাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল সাইন্স এসোসিয়েশন এই প্রকল্পকে তরান্বিত করতে ২৫ লাখ ডলারের বেশি অর্থ বরাদ্দ করেছে।
তথ্যসূত্রঃ প্রথমআলো