দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কিকঅফের ১১ মিনিটেই স্তব্ধ হয়ে যায় সাও পাওলো। অ্যারেনা কারিন্থিয়াসকে নিরব বানিয়ে এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। তাও আবার ব্রাজিলের ডিফেন্ডার মার্সেলোর আত্মঘাতী গোলে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো অঘটন ঘটেনি। ব্রাজিল জিতেছে ৩-১ গোলে।
ষষ্ঠ বারের মত বিশ্বকাপ জয়ের মিশনে নেমে প্রথমেই হোঁচট খায় স্বাগতিক ফ্যাভারিট ব্রাজিল। খেলার ১১ মিনিটে বক্সের বা প্রান্ত থেকে ক্রোয়েশিয়ার ইভিকা ওলিচের একটি ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে বল জড়িয়ে দেন রিয়াল মাদ্রিদ ফুলব্যাক মার্সেলো। এর মাধ্যমে একটি রেকর্ড গড়েন রিয়াল ফরোয়ার্ড। প্রথম ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার হিসেব বিশ্বকাপে আত্মঘাতী গোলের নজির।
কিন্তু সমতায় ফিরতে খুব সময় নেইনি তারা; খেলার ২৯ মিনিটে অস্কারের পাস থেকে ১-১ ব্যবধানে সমতা ফেরান নেইমার। এর পর অবশ্য নেইমারের আরেকটি প্রচেস্টা ব্যর্থ হলে- প্রথমার্ধ শেষে ওই ১-১ ব্যবধানেই থাকে। মাঝে ২১ মিনিটে নেইমার অবৈধ ভাবে ক্রোয়েশিয়ার খেলোয়াড়কে বাঁধা দেয়ায় রেফারী তাকে হলুদ কার্ড দেখান।
দ্বিতীয়ার্ধে নেমেই ব্রাজিল খেলায় ছন্দ ফিরে পায়, ফ্রেডকে ডি বক্সে ফাউল করলে রেফারী তাৎক্ষনিক পেনাল্টি কিক দায়, নেইমার স্পট কিক থেকে নিজের এবং দলের বিশ্বকাপ ২০১৪ এর দ্বিতীয় গোল করে দল্কে এগিয়ে দেন ২-১ এ। নেইমারের এই গোলের কারনে তিনি পেলে কাফু পর ব্রাজিলের তৃতীয় কোন খেলোয়াড় যিনি বিশ্বকাপের প্রথম মেচে দুই গোল করার কৃতিত্ব দেখান।
খেলার শেষ দিকে ৮৯ মিনিটে ব্রাজিলের ফরোয়ার্ ড অস্কার একাই বল নিয়ে এগিয়ে গিয়ে ক্রোয়েশিয়ার দুই ডিফেন্ডার এবং গোলরক্ষকে কাটিয়ে নিজের প্রথম এবং দলের তৃতীয় গোল করেন।
এর আগে দুই দল মোট ম্যাচ খেলেছে দুটি। ব্রাজিল ১টি ম্যাচে জয় পেয়েছে, ড্র হয়েছে ১ টি ম্যাচ। দুই বারের মুখোমুখিতে ব্রাজিল গোল দিয়েছে ২টি আর ক্রোয়েশিয়া গোল দিয়েছে ১টি।