দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কলম্বিয়ার বিপক্ষে কোয়ার্টার-ফাইনালের আগে ব্রাজিলের কোচ লুইস ফেলিপে স্কলারি দলের মনোবিদকে ডেকে পাঠিয়েছেন। হঠাৎ করেই স্কলারির আবার মনোবিদের শরণাপন্ন হওয়ার কারণ আছে হচ্ছে চিলির বিপক্ষে টাইব্রেকারে জয়ের এবং খেলোয়াড়দের আবেগে কেঁদে ফেলা।
ব্রাজিলের মত বড় দল এভাবে হারতে হারতে জয় পাওয়া এবং জয় পেয়ে দলের সব খেলোয়াড় আবেগে জর্জরিত হয়ে যাওয়া বিশ্ব ফুটবলে বিরল। ব্রাজিল দলের খেলোয়াড়দের এমন আবেগ অবশ্যই বিপক্ষ দলের জন্য আলাদা বার্তা দিবে বলেই মনে করছে সবাই। কারণ দলের খেলোয়াড়দের মানসিকতা এবং আবেগ বেশি হলে বিপক্ষ দল তার সুযোগ নিবে। ব্রাজিল একটি পেশাদার ফুটবল দল এখানে আবেগ আসলেও মাঠে তা দেখান বিরল।
মাঠে এবাভে কেঁদে ফেলার বিষয়ে নেইমার বলেন, “দলে কারোরই আবেগজনিত বা মানসিক সমস্যা নেই। আমরা ওইদিন মাঠে কিছুটা আবেগ তাড়িত ছিলাম তবে তা আমরা কাটিয়ে উঠেছি।”
দলের সবচেয়ে বড় তারকা বলে চাপটা নেইমারের ওপরই বেশি। ব্রাজিলের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন ২২ বছর বয়সী এই বার্সেলোনা তারকাকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত। কারণ দলের অন্য ফরোয়ার্ড হাল্ক এবং ফ্রেড নিজেদের নামের সাথে মাঠে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারছেন না।
এদিকে ব্রাজিলের খেলায় পরিকল্পনার কোনো ছাপ দেখছেন না দেশটির কিংবদন্তী ফুটবলার জিকো। জিকো নিজের করা মন্তব্যে বলেন, “আমাদের যথাযথ পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। পেছন থেকে কোনো আক্রমণের সূচনা হচ্ছে না। চিলির বিপক্ষে ব্রাজিল আবারও নেইমারকে লম্বা পাস দেয়ার চেষ্টা করেছে। যা উপযুক্ত খেলা বের করে আনতে সমস্যা হয়েছে। ব্রাজিলের খেলা হবে মধ্যমাঠ কেন্দ্রিক সেখান থেকেই বল যাবে বিপক্ষের ডিবক্সে।”
সাবেক অনেক তারকার নানান মন্তব্য হলেও, অনেকেই বলছেন এখন পর্যন্ত ব্রাজিলই হচ্ছে শিরোপার সবচেয়ে সম্ভাবনাময় দাবিদার। এখন দেখা যাক ব্রাজিল এই খেলা নিয়ে কতদূর যেতে পারে।