দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তিউনিশিয়ার মরুভূমিতে এক ‘অলৌকিক’ হ্রদের সন্ধ্যান পাওয়া গেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো এ খবর দিয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, তিউনিশিয়ার মরুভূমিতে হঠাৎ করেই একটি হ্রদের সন্ধ্যান মিলেছে। ৩ সপ্তাহ আগে প্রথম হ্রদটি কয়েকজন মেষপালকের চোখে পড়ে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে হৃদটি দেখার জন্য ভিড় জমাতে থাকে সবাই।
প্রচণ্ড এক খরাপীড়িত তিউনিশিয়ার মরুভূমিতে হঠাৎ হ্রদের সৃষ্টি হওয়ায় সেদেশে তোলপাড় শুরু হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এক হেক্টরের বেশি জায়গায় ব্যাাপৃত হ্রদটিতে ১০ লাখ ঘনমিটারের বেশি পানি রয়েছে। বলা হযেছে, এর গভীরতা ১০ থেকে ১৮ মিটার।
মরুভূমিতে এমন হ্রদ কীভাবে সৃষ্টি হলো, তার ব্যা্খ্যা এখনও কেও দিতে পারেনি। এই হৃদটির নাম দেওয়া হয়েছে গাফসা হ্রদ। হঠাৎ করে এই হৃদের সৃষ্টি হওয়ায় এটাকে অনেকেই অলৌকিক হ্রদ বলেই মনে করছেন। অনেকেই এটিকে আশীর্বাদ আবার আবার অনেকেই অভিশাপও মনে করছেন।
এদিকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ওই পানিতে নামার বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করেছে। এই হ্রদের পানি শুরুতে স্বচ্ছ নীল ছিল। তবে পরে তা আবার সবুজ রং ধারণ করে। আবার এক সময় ওই হৃদে সবুজ শ্যাওলা সৃষ্টি হতে থাকে। ৬ শতাধিক মানুষ এখন পর্যন্ত ওই হ্রদে স্কুবা ডাইভ করেছে এবং জলকেলি খেলেছে।
এই হ্রদ সৃষ্টির বিষয়ে কোনো সরকারি ব্যাখা এখনও দেওয়া হয়নি। তবে কিছু ভূতত্ত্ববিদেরা বলছেন, ভূকম্পনের কারণে ভূগর্ভস্থ পানি উপরিভাগে উঠে এসে এই হৃদের সৃষ্টি হতে পারে।
অবশ্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ওই হৃদে সাঁতার কাটার বিষয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। তবে পানি দূষিত হওয়ার কিংবা পানিতে রাসায়নিক পদার্থ থাকার আশঙ্কায় কর্তৃপক্ষ তিউনিশিয়ানদের সতর্ক করেছে।
উল্লেখ্য, তিউনিশিয়া হচ্ছে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম রাসায়নিক রপ্তানিকারী দেশ। আর গাফসা হলো বিশ্বের সর্ববৃহৎ ফসফেট খনি। তথ্যসূত্র: দি গার্ডিয়ান।