দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের চারপাশে অতৃপ্ত আত্মারা ঘুরে ফেরে। কেউ তাদের অস্তিত্ব টের পায়, কেউ পায় না। কেউ অবিশ্বাস করলেও গোরস্থান বা শ্মশানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বুকে দুরু দুরু আওয়াজ শুরু হয়ে যায়। সব দেশেই আত্মাদের ভিন্ন ভিন্ন গল্প প্রচলিত আছে। ভয়ঙ্কর এইসব লোমহর্ষক কাহিনী রাতের ঘুম কেড়ে নেয়। আজ বলছি জাপানের পাঁচ অতৃপ্ত আত্মার কাহিনী…
ওকিকু পুতুলঃ
অনেক বছর আগে জাপানে ওকিকু নামের এক ছোট্ট মেয়ে থাকত। তার ছিল সুন্দর একটি পুতুল। পুতুলটির পরনে ছিল ঐতিহ্যবাহী পোশাক আর চুল ছিল ছোট। ওকিকু সবসময় এই পুতুল দিয়ে খেলত।
একদিন প্রচন্ড ঠান্ডার কবলে পড়ে দুঃখজনক মৃত্যু ঘটল মেয়েটির। এই ঘটনায় সকলেই দুঃখ পেল। কিছুদিন পর সকলে অবাক হয়ে খেয়াল করল ওকিকুর পুতুলের চুল আগের চেয়ে লম্বা হয়ে গেছে। ঠিক যেমনটা মানুষের বাড়ে। সবার ধারণা, ওকিকুর আত্মা ঢুকে গেছে এই পুতুলটির মাঝে। এরপর থেকেই এটি বাস করছে মানেঞ্জি মন্দিরে।
কুচিসাকে ওন্নাঃ
অপঘাতে মারা যাওয়ার আগে কুচিসাকে ওন্নার মুখে গভীর এক কাটা দাগ ছিল। এটা নিয়ে প্রচণ্ড ক্রোধ নিয়ে আজও তার অতৃপ্ত আত্মা পথে পথে ঘুরে ফিরে। পথিমধ্যে কাওকে পেলে একটা প্রশ্নই করে- আমি কি সুন্দর?
ট্রেঞ্চ কোট আর সার্জিকাল মাস্কে মুখ ঢাকা দেখে পথিক যদি সুন্দর বলে তবে পথিকের মুখ কেটে একই রকম দাগ করে দিবে। আর কেউ সাহসী হয়ে সত্য বললে মাথা হারাতে হবে।
হিতোবাশিরাঃ
জাপানে প্রাচীন ধারণা মতে বিভিন্ন স্থাপনায় মানুষ ব্যবহার করলে বিধাতা খুশি হবে এবং স্থাপনা দীর্ঘস্থায়ী হবে। এভাবে বিভিন্ন স্থাপনায় কত শত নারী, পুরুষ ও বাচ্চাকে বলি দেওয়া হয়েছে তার ইয়াত্তা নেই। বলি দেওয়া এই সকল মানুষের আত্মা আজো পথে পথে ঘুরে ফিরে।
গার্ল ফ্রম দ্য গ্যাপঃ
এই আত্মা ঘরের কোনায় কোনায় লুকিয়ে থাকে। ঘরের লোকজন কারো যদি চোখাচোখি হয় তাকে সম্মোহন করে ফেলে। লুকোচুরি খেলার আমন্ত্রণ জানায়। এতে সায় দিলেই বিপদ।
অজানা এক স্থানে নিয়ে যাবে যেখান থেকে ফিরে আসা যায় না।
টিক টিকঃ
এটা সুন্দরী এক নারীর অতৃপ্ত আত্মা। অনেক অনেক আগে ট্রেনে কাটা পড়ে মাঝ বরাবর কাটা পড়ে।
এরপর থেকে নিচের অংশ খুঁজে না পেয়ে দুই হাতে ভর দিয়ে হাঁটে। হাঁটার সময় টিক টিক টিক আওয়াজ হয়। গভীর রাতে পথিমধ্যে কাউকে পেলে তারও একই হাল করে সে।