দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গতকাল ডুবে যাওয়া এম এল পিনাক-৬ নামের যাত্রীবাহী লঞ্চটি উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম।
তীব্র স্রোত এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির অভাবে ডুবে যাওয়া এম এল পিনাক-৬ লঞ্চটি গতকাল পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। রাতেই রুস্তম এসে পৌঁছেছে।
আজকের উদ্ধার অভিযান নিয়ে গতকাল সোমবার রাতে স্থানীয় প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, র্যাব, কোস্টগার্ড এবং নৌবাহিনীর সমন্বয় সভায় আজ সকাল থেকে উদ্ধার অভিযান শুরুর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সন্ধ্যার আগে নৌবাহিনীর একটি দল চারবার উদ্ধার অভিযান শুরুর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। গতকাল বিকেলে ফায়ার সার্ভিসের দুটি দল উদ্ধার তৎপরতায় নামে। তবে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির অভাবে তারা ব্যর্থ হয়। তাছাড়া নদীতে তীব্র স্রোত, থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযানে ব্যাঘাত ঘটে।
লঞ্চডুবির খবর পেয়ে গতকাল সোমবার বিকেলেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় উদ্ধারকারী জাহাজ ‘অগ্নিশাসক’। রাত ১০টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘রুস্তম’। অপরদিকে উদ্ধারকারী আরেক জাহাজ ‘হামজা’ অভিযানে অংশ নিতে রওয়ানা হয়েছে বলে বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে।
নিহত ৫ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গার আবদুল আজিজ (৪৫), একই এলাকার কমল মণ্ডল (২২), মাদারীপুরের শিবচরের হিরা (২০), মাদারীপুরের বাতেন আলী (৪৪) ও মাদারীপুরের শিবচরের গার্মেন্টস কর্মী আনোয়ার হোসেন (২৫)। আনুমানিক ৬৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এদিকে সময় মতো উদ্ধার অভিযান শুরু না হওয়ায় স্বজনহারাদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বেড়েছে। পদ্মাপাড়ে স্বজনহারাদের আহাজারিতে ওই এলাকার বাতাস ভারি হয়ে উঠছে। অনেকেই অভিযোগ করেছেন উদ্ধারকারীদের ব্যর্থতা নিয়ে।
উল্লেখ্য, এম এল পিনাক-৬ নামের লঞ্চটি তিন শতাধিক যাত্রী নিয়ে গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে পদ্মা নদীর লৌহজং চ্যানেল এলাকায় ডুবে যায়। অর্ধশতাধিক যাত্রী অন্যান্য নৌযানের সহায়তায় বেঁচে গেলেও বাকি যাত্রীদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত।