দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যেকোনো কাজ শুরুর আগেই ওয়ার্ম-আপ করা প্রয়োজন। হাত-পা মচকে যাওয়া থেকে বাঁচতে হলে এর বিকল্প নেই। বিশেষ করে শীতকালে ওয়ার্ম-আপের প্রয়োজনীয়তা সর্বাধিক। যত বেশি সময় ধরে সম্ভব ওয়ার্ম-আপ করলে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সতেজ থাকবে। শীতকালে শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় মাংসপেশি জমে যায়। এর ফলে শীতকালেই বেশিরভাগ ইনজুরির কবলে পড়তে হয়। ওয়ার্ম-আপ এ ধরনের ইনজুরি থেকে বাঁচিয়ে রাখবে।
আমরা বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বলছি, বাংলাদেশের মানুষ আমরা কিন্তু নিয়ম-কানুনের ধারই ধারিনা। যে কারণে আমাদের অনেক কম বয়সেই অনেক শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। আমরা ভাত খাওয়ার মধ্যে পানি খাই। আবার ভাত খেয়েই ঘুমিয়ে পড়ি অথচ এগুলো আমাদের জন্য কতখানি ক্ষতিকর তা কখনও চিন্তাও করতে পানি না। যাক সেসব বিষয়ে আরেকদিন আলোচনা করা যাবে। কিভাবে এই ওয়ার্ম-আপ ব্যায়াম করবেন সে বিষয়ে আসা যাক। অনেক রকমের ওয়ার্ম-আপ ব্যায়াম রয়েছে। প্রথমেই শরীরের মাংসপেশিকে স্থিরাবস্থা থেকে জাগিয়ে তুলতে হবে। এ জন্য হাত, পা, ঊরু ইত্যাদি অঙ্গকে স্ট্রেচিং করতে হবে। শীতকালে স্ট্রেচিংয়ের সময় অন্তত ১০ মিনিট হওয়া উচিত। ঠিকমতো স্ট্রেচিংয়ের পর জগিং কিংবা লম্বা সময় ধরে হাঁটাহাঁটি করা যায়। এতে মাংসপেশির ইনজুরি থেকে বেঁচে থাকা যাবে।
হাতের কব্জিতেও সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে আর্ম-সার্কলস করতে হবে। বৃত্তের মতো ঘুরিয়ে হাতের জড়তা দূর করতে হবে। সেই সঙ্গে গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে হবে। শরীরের উপরের অংশকে ধীরে ধীরে মোচড়াতে হবে। এতে মেরুদণ্ডসহ মাংসপেশির জড়তাও দূর হয়ে যাবে। বিশেষ করে ঘড়ির কাঁটার উল্টো দিকে শরীর ঘুরালে উপকার হয় সবচেয়ে বেশি। শরীরের সমস্ত পেশিকে জাগিয়ে তুলতে জাম্পিংয়ের বিকল্প নেই। এতে করে কঠোর পরিশ্রমের সঙ্গে মানিয়ে নিতে প্রস্তুত হয় হৃৎপিণ্ডও। হালকা পায়চারি করেও ওয়ার্ম-আপ করা যায়। পাঁচ মিনিটের মতো পায়চারি করলে শরীর কঠোর পরিশ্রমের উপযোগী হয়ে ওঠে। উবু (স্কোয়াটস) হয়ে থাকলে বিশেষ করে ঊরুর মাংসপেশি সতেজ হয়ে ওঠে। শরীরের উপরের অংশ ও নিচের অংশ এক করে এভাবে বেশ কয়েকবার উঠানামা করলে ওয়ার্ম আপের বেশ কয়েকটি ধাপ শেষ করা যায়।
উপরোক্ত নিয়মগুলো মেনে চললে আশা করি এই শীতে আমরা অনায়াসে সুস্থ্য থাকতে পারবো। কারণ শরীর ভালো না থাকলে মনও ভালো থাকে না- এটা একটা চিরাচরিত নিয়ম। তাই আসুন নিয়মিত ব্যায়াম করি এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মতো জীবন-যাপন করি। তাহলে আমরা সুস্থ্য-সুন্দর জীবন-যাপন করতে পারবো।