দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পিতা-মাতা জন্মদাতা তাদের জন্য নিজের জীবনও উৎসর্গ করতে প্রস্তুত এমন মানুষও এই দুনিয়াতে রয়েছে। কিন্তু এই ধ্যান-ধারণাকে উল্টে দিয়ে পিতা-মাতাকে হত্যার পর ‘রান্না’ করেছে এক পাষণ্ড সন্তান!
ঘটনাটি ঘটেছে হংকংয়ে। বয়স্ক এক দম্পতিকে হত্যা করার পর কেটে টুকরো টুকরো করেছে তার নরপশু পুত্র ও তার বন্ধু। আশ্চর্যের বিষয় হলো তাদের বর্বরতা এখানেই থেমে থাকেনি। পিতা-মাতার মৃতদেহ টুকরো টুকরো করে লবণ দিয়ে রান্না করতে হাত কাঁপেনি পাষণ্ড ওই পুত্রের! ঝলসানো মাংসের ন্যায় সেগুলোকে ভাতের সঙ্গে লাঞ্চবক্সেও ভরেছে তারা।
সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, হংকংয়ের একটি আদালতের শুনানিতে নৃশংসতার এমন বর্ণনা উঠে আসে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপিসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম।
ওই খবরে বলা হয়, ৬৫ বছর বয়সী চাউ উইং-কি ও তার ৬২ বছর বয়সী স্ত্রী সিউ ইউয়েত-ইয়ি ২০১৩ সালের মার্চ মাসে নিখোঁজ হন। নিখোঁজ হওয়ার কিছুদিন পর অ্যাপার্টমেন্টের দুটি রেফ্রিজারেটর থেকে তাদের রক্তমাখা কাটা মাথা উদ্ধার করা হয়। শরীরের বাকি অংশ পুলিশ উদ্ধার করে একটি আবর্জনার বালতি থেকে। পুলিশ পরে লাঞ্চবক্সে ভাতের সঙ্গে শরীরের রান্না করা বাকি অংশ উদ্ধার করে। রেফ্রিজারেটরে জায়গা না থাকার কারণে ৩০ বছর বয়সী পুত্র হেনরি চাউ এবং তার এক বন্ধু তাসে চুন-কেই এই কাজ করে। গতকাল বিচারের ২য় দিন জনাকীর্ণ আদালতে শুনানিতে উপস্থিত ছিল তারা।
মামলায় সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা বলেছেন, ঘটনার বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই পিতা-মাতাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল হেনরি ও তার বন্ধু। সেজন্য তারা ছুরি, রেফ্রিজারেটর, মাইক্রোওয়েভ ওভেন এবং রাইস কুকারও কিনেছিল।
পিতা-মাতা নিখোঁজের প্রথমদিকে হেনরি চাউ পুলিশকে বলেছিল, তার পিতা-মাতা চীনে গেছেন। কিন্তু পরে কথার নানা অসংলগ্নতার কারণে পুলিশের সন্দেহ হলে তাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আস্তে আস্তে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসে। আদালতে হেনরি নিজেকে ‘মানসিক বিকারগ্রস্ত’ বলে দাবি করেছেন। নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই সে লোমহর্ষক এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করছেন। কিন্তু আইনজীবীরা বলছেন, বহু আগে থেকেই সতর্কভাবে পরিকল্পনা করছিল হেনরি এবং তার কুকর্মের সহযোগী ওই বন্ধু। এখন এই মামলার রায়ের জন্য অপেক্ষা করছেন নিহতদের বাকি স্বজনরা। তথ্যসূত্র: guardianlv.com