দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যে চোখগুলো ভালবাসায় সিক্ত থাকে সে চোখই আবার দুঃখের অনুভূতি প্রকাশ করে। আবার এই চোখেই কখনো কখনো ফুটে উঠে উন্মত্ত উন্মাদনা, হতাশা, ক্লান্তি। চোখের ভাষা বুঝতে হলে নাকি চোখের মতো চোখ থাকতে হয়। আসলেই কি তাই? চোখের মাঝে ফুটে উঠা এমনি কিছু অনুভূতি নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন চোখের যে ভাষা আমাদের অনুভূতির কথা বলে।
১. উন্মত্ত উন্মাদনা
১৯১৬ সালের প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এক সৈনিকের তোলা ছবি। সেলারে লুকিয়ে থেকে একের পর এক গোলা ছুড়ে মারা আবার পাল্টা হামলায় পাশের সৈনিকের মৃত্যু। ভয়ার্ত অনুভূতি, নিদ্রাহীন রাত্রিযাপন, এক অজানা আতংকে দিনানিপাত করতে করতে সৈনিকটির মানসিক বিপর্যয় ঘটে। ফলে তার চোখে ফুটে উঠে উন্মাদনাময় অনুভূতি।
২. ভয়
মাত্র ১৫ বছরের একজন জার্মান সৈনিক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে আমেরিকান সৈনিকদের হাতে ধৃত হয়। তার নাম হ্যান্স জর্জ হ্যান। ৯ম ইউএস আর্মির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর অজানা ভবিষ্যতের আতংকে ভয়ে কেঁদে ফেলেন। তার চোখে এখন শুধুই ভয় কি আছে তার ভাগ্যে!!
৩. পবিত্রতা
দি বয় উইথ স্যাফ্যায়ার আই নামের এই ছবিটি তুলেছিলেন ভেনেসা ব্রিস্টো। জিম্বাবুয়ে একটি লোকালয়ের এই শিশুটি ছবি তোলার সময় ক্যামেরা দিকে তাকিয়ে এক শুভ্র পবিত্র অনুভূতির কথা প্রকাশ করছে।
৪. Let it go
চোখের সামনে গুলিতে মারা যেতে দেখেছেন তার মা, বাবা আর প্রিয়তম স্ত্রীকে। আরো অনেকেই আছেন মৃত্যুর অপেক্ষায়। ১৯৪১ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় শুধুমাত্র ইউক্রেনেই একদিনে হত্যা করা হয় ২৮০০০ ইহুদি। তাদেরই একজন এই ছবির ব্যক্তিটি। মৃত্যুর আগে তার চোখে নেই কোন ভয়, নেই কোন হতাশা শুধুই বিস্ময় Let it go।
৫. বিস্ময়
মাত্র পাঁচ বছরের এই শিশুটি জন্ম থেকেই বধির। সে কানে কিছুই শুনতে পায় না। হেয়ারিং মেশিন আবিস্কারের পর তার কানে তা পরীক্ষা করার জন্য বসানো হয়। শব্দের প্রথম অনুভূতি তার চোখে বিস্ময় আকারে দেখা দিয়েছে।
৬. সতর্কতা
১৯৮০ সাল আফগানিস্তান তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের একটি দেশ। দেশটিকে স্বাধীন করার জন্য বিপ্লবীরা লড়াই করছে। এরিমধ্যে হেলিকপ্টারে করে রাশিয়ান সেনাদের গানমেশিন আক্রমণ। চোখের সামনে মরে যেতে দেখলেন মা, বাবা, ভাই, বোন সকলকে। তারপর থেকেই এই চোখে শুধুই সতর্কতা। এমনি থাকতে থাকতে চোখের গাঠনিক বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে।
৭. লজ্জা
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও জার্মান সৈনিকের সাথে রাত্রিযাপনের অভিযোগে এই মেয়েটির মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়। তরুণীটির চোখে শুধুই লজ্জা।