দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৭ শিশুকে এক শিক্ষক ধর্ষণ করলো এমন খবর প্রকাশ করতেও লজ্জাবোধ করে। কিন্তু ওই শিক্ষকের এমন কাজ করতেও এতোটুকু কুণ্ঠাবোধ হয়নি। ধিক্কার এমন শিক্ষককে।
সাম্প্রতিক সময়ে বর্বরতম ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে ভারতে। সংবাদ মাধ্যমগুলো দেখলেই বোঝা যায় ওইদেশে ধর্ষণের মতো ঘটনা কিভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাসে মেডিক্যাল ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার পর বিশ্বজুড়েই তোলপাড় শুরু হয়। কিন্তু তাই বলে ধর্ষকরা থেমে নেই। একের পর এক ঘটছে ঘটনা। মনুষত্ব আজ কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে তা চিন্তাও করা যায় না। প্রতিবেশি এই রাষ্ট্রের এমন ঘটনার মতো ঘটনা হয়তো আমাদের দেশেও ঘটছে। তবে এজন্য দরকার সকলের সমবেত প্রতিরোধ।
ভারতের গণমাধ্যমের সুবাদে যা বোঝা যাচ্ছে আর তা হলো, মহামারিতে রূপ নিয়েছে বিষয়টি। ৬ বছরের শিশু থেকে ৬০ বছরের বৃদ্ধা, দেশি-বিদেশি পর্যটক- কেও-ই রেহায় পাচ্ছেন না ধর্ষণ নামক বিকৃত বাসনার হাত থেকে।
সম্প্রতি ৬ বছরের এক শিশু কন্যা যৌন নিপীড়নের শিকার হলে তার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে ভারতের বেঙ্গালুরু। শহরজুড়ে দাবি উঠেছিল, শিশু এবং নারী নিরাপত্তা শক্তিশালী করতে হবে। এমনকি পুলিশদের জন্য তৈরি হয়েছিল নতুন গাইডলাইনও। কিন্তু এতো প্রতিবাদ, নতুন আইন প্রণয়ন, কোনো কিছুই যেনো বাস্তবের ভয়ংকর চিত্রটির পরিবর্তন আনতে পারেনি। তার প্রমাণই পাওয়া গেলো ফের ওই বেঙ্গালুরুতেই। ৬৪ বছরের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৪৫ দিনে অন্তত ৭টি শিশুকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠলো। ধিক্কার এমন শিক্ষককে।
সংবাদ মাধ্যম বলেছে, বেঙ্গালুরুর কনকপুরা রোডের একটি বেসরকারি স্কুলের তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণীর অন্তত ৭ শিশু ওই শিক্ষকের বিকৃত লালসার শিকার হয়েছেন। জানা যায়, ওই শিক্ষক স্কুলের খণ্ডকালীন শিক্ষক। ওই শিক্ষকের নাম চন্দ্রমৌলি। অভিযুক্ত চন্দ্রমৌলি অবসারপ্রাপ্ত পোস্টম্যান। তিনি অবসরের পর তার বন্ধুর স্কুলে খণ্ডকালীন শিক্ষকের কাজ করতেন। এ মাসের ৫ তারিখে ৮ বছরের এক শিশু-ছাত্রীর মা থানায় গিয়ে চন্দ্রমৌলির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ চন্দ্রমৌলিকে গ্রেফতার করে। এই খবর প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয় স্কুলটি। ইতিমধ্যে আরও ৩ ছাত্রীর মা-বাবা তালঘাত্তাপুরা থানায় চন্দ্রমৌলির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন।