দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যে কথা লিখতে ঘৃণাবোধ লাগে সে কাজ স্বাছন্দে করেছেন এক আমেরিকান হাসপাতালকর্মী। তিনি মৃত নারীদের সঙ্গে সেক্স করে অমানুষের শেষ সীমায় পৌঁছে গেছেন।
লাশের সঙ্গে সেক্স করার অপরাধে যুক্তরাষ্ট্রের ওই হাসপাতালকর্মীর বিচার চলছে। হাসপাতালের লাশঘরে চাকরির দীর্ঘ সময়ে তিনি অন্তত একশ’ লাশের সঙ্গে এই কুকর্মটি করেছেন বলে স্বীকার করেছেন আদালতে।
সংবাদ মাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের একটি কাউন্টির হাসপাতাল মর্গের ওই অভিযুক্ত পাহারাদার ৬০ বছর বযসী কেনিথ ডগলাসের বিরুদ্ধে বিচার চালানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছে ফেডারেল আদালতের আপিল বিভাগ।
ওই খবরে আরও বলা হয়, ওহাইও’র হ্যামিলটন কাউন্টির হাসপাতালটির শবঘরে ১৯৭৬ হতে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত রাতের শিফটে কাজ করতেন ডগলাস। পাহারা দেয়ার সময় ডগলাস মদ্যপ অবস্থায় বিভিন্ন সময়ে অন্তত ১০০ নারীর লাশের সঙ্গে তার সহবাসের কথা স্বীকার করেন।
৩টি মৃতদেহকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার পর বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। আর তখন ডগলাস অভিযুক্ত হন। এরপর ২০১২ সালে কয়েকজন ভুক্তভোগী পরিবার সরাসরি তার বিরুদ্ধে মামলা করে। পরে অনেক মৃতদেহের ডিএনএ পরীক্ষা চালিয়ে ডগলাসের অপকর্মের প্রমাণ মিলেছে। আবার ডগলাসের অবৈধ যৌনাচারের বিরুদ্ধে স্বাক্ষ্য দিয়েছেন তার স্ত্রী। কর্মক্ষেত্র থেকে বাড়ি ফেরার পর তিনিও মদ্যপ অবস্থায় এবং এধরনের ঘটনার আলামত অনুভব করতে পেরেছিলেন বলে তিনি আদালতকে জানিয়েছেন।
এই ঘটনার পর বিচার শুরু করেছে আদালত। স্বাক্ষ প্রমাণ সব কিছুই রয়েছে আদালতের কাছে। এখন শুধু বিচার শুরু এবং রায়ের অপেক্ষা। এরকম কুকর্মকারির কঠিন শাস্তি হোক এটি কামনা সবার। তথ্যসূত্র: ডেইলিনিউজ