দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ বুধবার ৯ জানুয়ারি সকালে দেশের তাপমাত্রা ছিল স্বাধীনতার পর সবচেয়ে কম। এ সময় দেশের সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে ৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে এর চেয়ে কম তাপমাত্রা হয়েছিল শ্রীমঙ্গলে ২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস সেটি ছিল ১৯৬৮ সালে।
আজ বুধবার ৯ জানুয়ারি সকালে ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৬৪ সালে একবার ঢাকায় এ রকম ঘটনা ঘটেছিল।আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, রাজধানীসহ দেশের ওপর দিয়ে শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে আরও দুই দিন। এর মধ্যে উত্তরের কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে তীব্র এবং ঢাকাসহ উত্তর, উত্তর পূর্ব, পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।তীব্র শীতের মধ্যে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। বিশেষত নিম্ন আয়ের মানুষ নিদারুণ কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।আবহাওয়া অফিস জানায়, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল পর্যস্ত বিস্তৃত। মৌসুমী লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। ঈশ্বরদী, দিনাজপুর, সৈয়দপুর, টাঙ্গাইল ও কুষ্টিয়া অঞ্চল সমূহের ওপর দিয়ে তীব্র এবং যশোর ও শ্রীমঙ্গল অঞ্চলসহ রাজশাহী, রংপুর ও ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে মুদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে এবং আরও বাড়তে পারে।এ অবস্থায় আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক রয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) মতো আজও (বুধবার) ভোরে থেকে দেশের নদী অববাহিকায় ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা রয়েছে।
সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা আরো হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। উল্লেখ্য, গতকাল ৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ঈশ্বরদীতে ৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি এবং ঢাকায় ছিল ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।এর আগে আবহাওয়া অফিস জানায়, জানুয়ারিতে একটি তীব্র এবং আরও ২ থেকে ৩টি মাঝারি শৈত্য প্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ নিউজ২৪।