দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলায় আমড়া কাঠের ঢেঁকি বলে প্রচলিত একটি প্রবাদ রয়েছে। আমড়া গাছের কাঠটি যেমন হোক না কেন এর ফলটি বেশ মজাদার ও জনপ্রিয়। আমড়া ফলকে শুধু মজাদার ফল বললে ভুল বলা হবে কেননা এতে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। আমড়া বর্ষাকালের ফল তাই এই সময়ে বিভিন্ন বিক্রেতা ভ্যানে করে রাস্তায় বিক্রি করতে দেখা যায়। আজ আমরা পাঠকদের জন্য আমড়ার পুষ্টিগুণ তুলে ধরবো।
পরিপক্ব এবং কাঁচা আমড়াই সকলে পছন্দ করে থাকেন কেননা আমড়া পেকে গেলে তার একটি কচকচে ভাব রয়েছে সেটি চলে যায়। বিক্রেতারা আমড়া কেটে ফুলের মতো সজ্জিত করে লবণ মরিচ মাখিয়ে দেন। খেতে খুবই ভালো লাগে। এছাড়াও ঘরবাড়িতে অনেকেই আমড়া ভর্তা করে খান আবার বিভিন্ন তরকারির সাথে আমড়া দিয়ে থাকেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক ১০০ গ্রাম আমড়াতে কি পরিমাণ পুষ্টি উপাদান থাকে। পুষ্টিবিদরা বলেন ১০০ গ্রাম আমড়ায় রয়েছে-
১. খাদ্যশক্তি- ৪৬ কিলোক্যালরি,
২. আমিষ- ০.২ গ্রাম
৩. চর্বি- ০.১ গ্রাম
৪. শর্করা- ১২.৪ গ্রাম
৫. ক্যালসিয়াম- ৫৬ মিলিগ্রাম
৬. ফসফরাস- ৬৭ মিলিগ্রাম
৭. আয়রন- ০.৩ মিলিগ্রাম
৮. ক্যারোটিন- ২০৫ মিলিগ্রাম
৯. থায়ামিন- ০.০৫ মিলিগ্রাম
১০. রিবোফ্লেভিন- ০.০২ মিলিগ্রাম
১১. ভিটামিন সি- ৩৬ মিলিগ্রাম
আমড়ার পুষ্টি উপাদানগুলো সম্পর্কে তো জানলাম তবে চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক আমড়া আমাদের শারীরিক কি উপকারগুলো করে থাকে।
১. আমড়া রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টোরলের পরিমাণ কমায়। এটি হৃদযন্ত্রের স্ট্রোক এবং হাইপ্রেসারের মাত্রা কমায়।
২. আমড়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়াম। এটি মাড়ির এবং ঠোঁটের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে।
৩. চিকিৎসকরা বলেন, আমড়া একটি ফাইবার ফুড। এটি বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৪. আমড়ায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সারসহ মারাত্মক কিছু রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৫. খাবারের অরুচি এবং শরীরের অতিরিক্ত উত্তাপ নিরসনে অনেক বেশি কার্যকর হলো আমড়া।
৬. তাছাড়া আমড়া খেলে চুল, ত্বক ও নখ অনেক বেশি সুন্দর থাকে।