দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ড্রোনের নজরদারি নিয়ে সারাবিশ্বেই বেশ সমালোচনা রয়েছে। পাকিস্তানে আমেরিকান ড্রোন নিয়েও অনেক কথা হয়েছে। ড্রোন নিয়ে আবারও সরব পত্র-পত্রিকা। সম্প্রতি ভারতীয় ড্রোন সুন্দরবনে নজরদারি করবে এমন খবর এসেছে সংবাদ মাধ্যমে।
পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ সুন্দরবন সংলগ্ন সমুদ্র উপকূল এলাকায় এই চালকবিহীন বিমান ড্রোন ব্যবহার করে নজরদারি চালাবে ভারতীয় নৌবাহিনী। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই ইউএভি বা ড্রোন বিমানটি দক্ষিণ কোলকাতার বেহালা বিমানবন্দরে রাখতে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে জমি চেয়েছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ আধিকারিক সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বিমানটির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ইতিমধ্যেই বেহালা বিমানবন্দরকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এজন্য বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট ১৫ একর জমি চাওয়া হয়েছে। জমি হস্তান্তরের বিষয়টি এখন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সব ঠিক থাকলে চলতি বছরেই বেহালা হতে পূর্ব-ভারতের উপকূলীয় এলাকায় ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি শুরু হবে বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এক সংবাদে বলা হয়েছে, দূর নিয়ন্ত্রিত এই ড্রোন ভারতীয় সীমার মধ্যে থেকেই নজরদারি চালিয়ে যাবে। ওই এলাকার ছবি তুলে আনবে ঘন জঙ্গলের ভেতর থেকে। অনুপ্রবেশকারী অথবা ঘাঁটিতে থাকা ‘জঙ্গি’দের গতিবিধি ইথার তরঙ্গের মাধ্যমে নজরে আসবে নৌ-সেনার মনিটরে। যে কারণে খুব সহজেই সমুদ্র উপকূলে অনুপ্রবেশসহ সকল ধরনের ভারতবিরোধী কার্যকলাপ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বেও ভারতীয় ড্রোন বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি করবে বলে খবর বের হয়। তবে সে সময় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ওই খবর অস্বীকার করে।