দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর পর আল কায়েদার কার্যক্রম যখন অনেকটা স্থিতিত তখন আইএস তাদের কর্মকাণ্ডের পরিধি সারাবিশ্বে বিস্তৃত করেছে। এমন এক পরিস্থিতিতে কয়েকটি আরব রাষ্ট্রের আইএস’র বিরুদ্ধে বিমান হামলায় অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আমেরিকা ইতিমধ্যেই আইএসকে দমন করতে বিমান হামলার ঘোষণা ও অনুমোদনও নিয়েছে। বর্তমানে আরও কয়েকটি আরব-রাষ্ট্র কট্টরপন্থী সংগঠন ইরাকে ইসলামিক স্টেট’র (আইএস) জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বিমান হামলায় অংশ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে ইরাকি সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষেই দেশগুলো সেনা অভিযানে অংশ নেওয়ার পক্ষপাতী বলে সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্টে সুনির্দিষ্টভাবে অভিযানে অংশ নিতে আগ্রহী দেশগুলোর নাম এবং সংখ্যা জানানো হয়নি। এই খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, ‘কট্টরপন্থী সংগঠনটির বিরুদ্ধে অভিযানে সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি তাকে ‘বেশ উৎসাহিত’ করেছে।’ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ সফর শেষে ফ্রান্সে সফররত কেরি বর্তমানে প্যারিসে অবস্থান করছেন। ইরাকের নিরাপত্তা এবং আইএস’কে মোকাবেলা ইস্যুতে আজ একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে ফ্রান্স।
উল্লেখ্য, মার্কিন সাংবাদিকের শিরোশ্ছেদ ও গত শনিবার জিম্মি করে রাখা এক বৃটিশ নাগরিক এবং ত্রাণকর্মী ডেভিড হেইন্সের শিরোশ্ছেদ করে আইএস। অপর এক বৃটিশ নাগরিক অ্যালান হেনিংকেও শিরোশ্ছেদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। যে কারণে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে এই আইএস।