দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এইচ. এম. এরশাদপুত্র সাদসহ ১৩ জনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিভিন্ন ব্যাংকে চিঠি পাঠিয়ে হিসাব চাওয়া হয়েছে।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এইচ. এম. এরশাদের ছেলে সাদ, বিভিন্ন রাজনীতিক, তাদের সন্তান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ীসহ অন্তত ১৩ জনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। জানা যায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণাধীন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) হতে গত বৃহস্পতিবার সব তফসিলি ব্যাংকে চিঠি পাঠিয়ে ১৩ ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়।
বিএফআইইউ সাধারণভাবে মুদ্রা পাচার, সন্ত্রাসে অর্থায়ন এবং সন্দেহজনক লেনদেন নিয়ে তদন্ত করে থাকে। এছাড়া সরকারের বিভিন্ন সংস্থার (দুর্নীতি দমন কমিশন, সেন্ট্রাল ইন্টিলিজেন্স সেল) তদন্তের জন্য তথ্য নিয়ে থাকে এই প্রতিষ্ঠানটি।
১৩ ব্যক্তির মধ্যে রয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এরশাদের একমাত্র সন্তান রাহগীর আল মাহী (সাদ), বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছেলে আরাফাত রহমান কোকো, ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার ছেলে সাজেদুল হক চৌধুরীর (দীপু চৌধুরী), ঢাকার স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, ঢাকা মহানগর যুবলীগের সভাপতি (দক্ষিণ) ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, দলীয় নেতা একরামুল হক হত্যাকাণ্ডের পর বিতর্কে থাকা ফেনী সদরে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, বিএনপি নেতাদের মধ্যে রয়েছে সাবেক পরিবেশমন্ত্রী শাহজাহান সিরাজ ও তার ছেলে রাজিব সিরাজ, সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান (প্রয়াত- এম সাইফুর রহমানের ছেলে), সাবেক সংসদ সদস্য এম. এ. এইচ. সেলিম (সিলভার সেলিম), চাঁদপুর জেলা সভাপতি শেখ ফরিদউদ্দিন মানিকের ব্যাংক হিসাবের তথ্যও চেয়েছে বিএফআইইউ। এছাড়া আরও তথ্য চাওয়া হয়েছে রিকন্ডিশনড গাড়ি আমদানিকারকদের সংগঠন বারভিডা সভাপতি হাবিবুল্লাহ ডন, অধুনা বিলুপ্ত ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহ মো. হারুনের ব্যাংক হিসাব।
ব্যাংকগুলোর কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয় যে, “এসব ব্যক্তির নামে অথবা তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো হিসাব অতীতে বা বর্তমানে পরিচালিত হয়ে থাকলে উক্ত হিসাব সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্যাদি (হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি প্রোফাইল, টিপি, শুরু হতে হালনাগাদ লেনদেনের বিবরণি) আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে পাঠাতে হবে।”