দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের দিল্লি চিড়িয়াখানায় বাঘের খাঁচায় এক যুবক পড়ে গেলে তাকে নির্মম ভাবে হত্যা করে বাঘ। এ সময় দর্শনার্থী এবং প্রহরীরা দূর থেকে ভয়ংকর এই দৃশ্য দেখছিলো।
২০ বছর বয়সী তরুন মাকসুদ সবার মত চিড়িয়াখানায় বন্য প্রাণী দেখতে যায়। তবে বাঘের খাঁচায় বাঘ দেখতে গেলে সেখানে থাকা নিরাপত্তা বেষ্টনী টপকে মাকসুদ বাঘের খাঁচায় পড়ে যায়।
মাকসুদ যখন বাঘের খাঁচায় পড়ে বাঘটি মাকসুদের ঠিক সামনেই ছিলো। তবে বাঘ এই সময় মাকসুদ কে আক্রমণ করেনি। প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানায় মাকসুদ আকুতি করছিলো বাঘের দিকে হাত জোর করে এবং কাপছিলো।
মাকসুদের খাঁচায় পড়ে যাওয়া থেকে শুরুকরে মারা যাওয়ার সম্পূর্ণ ঘটনা বিট্টু নামের একজন নিজের ফোনে ধারণ করেন। বিট্টু মিডিয়াকে জানায় মাকসুদ বাঘ দেখতে খুবি উৎসাহিত ছিলো ফলে সে অতি উৎসাহে নিরাপত্তা বেষ্টনী টপকে ভেতরে পড়ে যায়। বিট্টু দাবি করে বাঘের খাঁচার নিরাপত্তা বেষ্টনী অনেক ছোট ছিলো ফলে মানুষ তা টোপকে পড়ে যেতে পেরেছে। এছারাও বিট্টু সহ অন্যরা জানায় মাকসুদকে বাঘ হত্যা করার আগ পর্যন্ত যথেষ্ট সময় পাওয়া গেলেও চিড়িয়া খানা কর্তৃপক্ষ চেতনানাশক ডাট ইঞ্জেকশান দিয়ে বাঘকে অচেতন করেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মাকসুদ প্রথমে ১০ মিনিট বাঘের সামনেই হাত জোড় করে কাঁপতে থাকে এসময় বাঘ তাকে কিছুই করেনি তবে যখনি মাকসুদ দৌড় দেয় বাঘ তার ঘাড়ে কামড়ে ধরে এবং ভয়ংকর ভাবে চিঁড়ে হত্যা করে।
ভিডিও-
http://youtu.be/ydRfgUPMCSg
অবশ্য চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ দাবি করে তাদের বাঘের খাঁচার সামনে নিরাপত্তা বেষ্টনী ঠিকি উঁচু ছিলো তবে মাকসুদ অতি উৎসাহিত হয়ে তা টপকে খাঁচায় পড়ে যায়।
সূত্র- ইন্ডিপেনডেন্টইউকে