দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবশেষে বিতর্কিত মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভা থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এ খবর নিশ্চিত করেছে।
গতকাল সোমবার হজ, তাবলিগ ও প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার পর দেশজুড়ে তাঁর বিরুদ্ধে শুরু হয় প্রতিবাদ। এক পর্যায়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভা হতে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ হতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
নিউ ইয়র্কে প্রবাসী বাংলাদেশীদের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বেফাঁস মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সফররত আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা। তাঁকে সংবর্ধনা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘টাঙ্গাইল জেলা সমিতি’ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
তার ওই বিতর্কিত বক্তব্য ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বিভিন্ন দল এবং সংগঠনের পক্ষ হতে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার জোর দাবি ওঠে। ইতিমধ্যেই হেফোজতে ইসলাম কর্মসূচিও দিয়েছে।
জানা যায়, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এই নিয়ে আলোচনায় হয় এবং পরে বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র সফররত প্রধানমন্ত্রীর গোচরে আনা হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সাভারের এক অনুষ্ঠানে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকে কারো এমন মন্তব্য করা উচিত নয়। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওয়াবয়দুল কাদের আরও বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা। সেই হিসেবে অবশ্যই তিনি সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই তাঁকে জড়িয়ে এমন বক্তব্য করা ঠিক নয়। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি আমলে নিয়েছেন, তিনি দেশে ফেরার পর এই বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত হবে।
উল্লেখ্য, ওই অনুষ্ঠানে মতবিনিময়ের সময় লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি হজ আর তাবলীগ জামাতের ঘোরতর বিরোধী, জামায়াতে ইসলামীরও বিরোধী। তবে তার চেয়েও বেশি হজ ও তাবলীগ জামাতের।’
হজ প্রসঙ্গে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘হজের জন্য ২০ লাখ লোক সৌদি আরবে গিয়েছে, এদের কোনো কাম নাই। এদের কোনো প্রডাকশন নাই। শুধু রিডাকশন দিচ্ছে। শুধু খাচ্ছে আর দেশের টাকা দিয়ে আসছে। যদি গড়ে বাংলাদেশ হতে ১ লাখ লোক হজে যায় প্রত্যেকের ৫ লাখ টাকা করে ৫শ’ কোটি টাকা খরচ হয়।’
এসময় তাবলীগ জামাতের সমালোচনা করে মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘তাবলীগ জামায়াত প্রতিবছর ২০ লাখ লোকের জমায়েত করে। নিজেদেরতো কোনো কাজ নেই। সারাদেশের গাড়িঘোড়া তারা বন্ধ করে দেয়।’