দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনি যদি ভেবে থাকেন আপনার বাড়ি থেকে স্কুলটি দূরে হয়ে যাওয়ার ফলে আপনার শিশুটির শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে না তাহলে বলবো নিচের এই ছবিগুলোর শিশুদের কথা চিন্তা করুন। যারা জীবনবাজি রেখে শিক্ষা গ্রহণ করতে যাচ্ছে। এমনই ১০টি দুর্গম বিদ্যালয়ের যাওয়ার পথের কথা আজ আমরা আপনাদের জন্য তুলে ধরবো।
চীনের গুলু রাজ্যের একটি স্কুলে যাওয়ার পথ এটি। এই পথটি পাড়ি দিতে শিক্ষার্থীদের লাগে ৫ ঘন্টা। পাহাড়ের পাথর কেটে তৈরি করা এই রাস্তার প্রশস্ততা হলো মাত্র এক ফুট।
দক্ষিণ চীনের জাং জিয়ান গ্রামের একটি স্কুলে যাওয়ার রাস্তা হলো এই মই। স্কুলটি সমুদ্র সমতল থেকে ৭০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত বলে শিক্ষার্থীদের অনেকগুলো মই বেয়ে উঠতে হয়।
ইন্ডিয়ান হিমালিয়ান গ্রাম জাংসারের একটি স্কুলে যাওয়ার পথ এটি। আনন্দের বিষয় হলো এখানের শিক্ষার্থিরা স্কুল বোর্ডিং এ থাকার সুবিধা পায়।
ইন্দোনেশিয়ার লেবাক গ্রামের এই ঝুলন্ত ব্রীজটি হয়তো একসময় ভালো ছিল। কিন্তু এখন এর যে অবস্থা তাতে যে কেউ পিলে চমকে উঠবে। কিন্তু এই ব্রীজটি পাড়ি দিয়ে স্কুলে যাচ্ছে বাচ্চারা। ইন্দোনেশিয়ার বড় স্টীল কোম্পানী পিটি স্টিল এই গ্রামের কথা শোনার পর এখানে একটি স্টিলের ব্রীজের নির্মাণ কাজ শুরু করেছে।
কলম্বিয়ার রিও নেগ্রো নদীর ৮০০ মিটার উপর দিয়ে এই শিশুটি দড়িতে ঝুলে স্কুলে যাচ্ছে। এই দড়িটির দৈর্ঘ্য ৪০০ মিটার অর্থাৎ তাকে এইভাবে ঝুলন্ত অবস্থায় ৪০০ মিটার পথ পাড়ি দিতে হবে।
ইন্দোনেশিয়ার রিয়াউ গ্রামের শিশুরা এইভাবে নৌকা চালিয়ে প্রতিদিন স্কুলে যায়। কুয়াশাছন্ন এই ঘন জঙ্গলের কথা একবার ভাবুন শিহরিত হবেন।
ইন্দোনেশিয়ার চিল্যাংকাপ গ্রামের এই শিশুরা প্রতিদিন এই খরস্রোতা নদী পাড়ি দিয়ে স্কুলে যায় তাদের যাওয়ার বাহন বাঁশের তৈরি ভেলা।
১২৫ মাইল পায়ে হেটে দুর্গম পাহাড় পাড়ি দিয়ে চীনের পিলি শহরের এই শিশুগুলো তাদের বোর্ডিং স্কুলে যায়।
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রার পাদাং গ্রামের এই দড়িটি হলো তাদের চলার পথ। বহমান খরস্রোতা নদীর প্রায় ত্রিশ ফুট উচু স্থান দিয়ে তাদের চলাচল করতে হয়।
ফিলিপাইনের রিজেল রাজ্যের এই শিশুরা প্রতিদিন স্কুলে যায় একটি টায়ার টিউবের উপর ভেসে ভেসে।
তথ্যসূত্রঃ বোরপান্ডা