দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার এমন এক শিশুর সন্ধান পাওয়া গেছে, যে শিশুটি ধীরে ধীরে পরিণত হচ্ছে পাথরে! এই শিশুটি নেপালের প্রত্যন্ত অঞ্চলের।
যখন নূর কুমারী নামে এক মহিলা ছেলেটির জন্ম দেয় তখন তারমধ্যে কোন অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি। অন্য দশটা মায়ের মতোই হাসিমুখে সন্তানকে কোলে নিয়ে বাড়ি আসে। তবে ১৫ দিন পরেই দেখা যায় শিশুটির চামড়া শক্ত হয়ে খোসার মতো করে পড়ে যাচ্ছে। আবার সেখানে দ্রুত শক্ত কালো চামড়া তৈরি হচ্ছে। আর তখন থেকেই শুরু হয় শিশুটির পাথরে পরিণত হওয়া।
সেই শিশুটির নাম রামেশ ডর্জি, বর্তমানে বয়স ১১ বছর। এই শিশুটি বিরল এক ধরনের চর্মরোগে আক্রান্ত হয়ে পাথরে পরিণত হচ্ছে। যে কারণে ভীষণ চুলকানীসহ প্রতিনিয়ত যন্ত্রণাদায়ক ব্যথা হয়ে চামড়ার বর্হিঅংশ শক্ত পাথর হয়ে গেছে। বর্তমানে এই চর্মরোগের কারণে তার দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়েছে। এমনকি কথাও ঠিকমত বলতে পারে না শিশুটি। পা’দুটো ভাজ হয়ে গেছে তাই একা চলাফেরা করতে পারে না। রামেশকে দেখতে এতোই ভয়ঙ্কর লাগে যে অন্য শিশুরা তার সঙ্গে মিশে না, তাই তার কোনো বন্ধুও নেই।
রামেশ নেপালের এক প্রত্যন্ত এলাকায় একটি দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়। তার এই রোগের চিকিৎসা অত্যান্ত ব্যয়বহুল বিষয়। দীর্ঘদিনেও এই চর্মরোগ না সারাতে তার বাবা-মা আশা ছেড়েই দিয়েছেন। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রামেশের এই বিরল চর্মোরোগ সংক্রান্ত ভিডিও দেখে সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন এক বৃটিশ গায়িকা জর্স স্টোন।
জানা যায়, কাঠমাণ্ডু থেকেই তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে। রামেশকে এই ব্যয়বহুল চিকিৎসায় অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সবার আশা একদিন রামেশ আবার স্বাভাবিক জীবন যাপন করবে।