দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আলেপ্পোর একটি বিধ্বস্ত ভবনের ভেতর হতে উদ্ধার করা হয় ওমরান নামে রক্তাক্ত এই শিশুটিকে। সে বর্তমানে বিশ্ববাসীর কাছে এক বিস্ময়কর শিশুতে পরিণত হয়েছে!
এক রক্তাক্ত মুখ, সারাগায়ে ধূলি-মাটি মাখা ভীত এই শিশুটি একটি অ্যাম্বুলেন্সের সিটে বসে আছে। সে নিজের মুখে হাত বুলাতে গিয়ে রক্ত দেখে চমকে ওঠে।
সিরিয়ায় বিমান হামলার পর বেঁচে যাওয়া এই শিশুকে উদ্ধারের পর তোলা ভিডিও ও ছবিটি সমগ্র বিশ্বকে হতবাক করেছে।
সম্প্রতি আলেপ্পোয় বিমান হামলার পর একটি বিধ্বস্ত ভবন হতে এই শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এরপর তার ভিডিও ও ছবি প্রকাশ করে সিরীয় বিদ্রোহীরা।
ওমরান দাকনিশ নামে এই ৫ বছর বয়সী শিশুটির মাথায় আঘাত থাকায় এখন চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে এই শিশুটির পরিবারের সদস্যদের কী পরিণতি হয়েছে, সেটি এখনও জানা যায়নি।
বিদ্রোহীদের একটি মিডিয়া সেন্টার বলেছে, বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত আলেপ্পোর কোটের্জি জেলার একটি ভবনে রাশিয়ান বিমান হামলার পর এই শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সেসময় শিশুটির এই ছবিটি তোলা হয়। সেদিনকার ওই হামলায় ৩ জন নিহত ও ১২জন আহত হয়।
শিশুটিকে নিয়ে করা ভিডিওতে দেখা যায়, একটি বিধ্বস্ত ভবন হতে শিশুটিকে উদ্ধার করে আনা হচ্ছে। এরপর একটি অ্যাম্বুলেন্সের আসনে রক্ত ও ধুলোমাটি মাখা শিশুটিকে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
নিজের হাতে রক্ত দেখতে পায় শিশু ওমরান দাকনিশ। এরপর শিশুটি খানিকক্ষণ শান্ত হয়ে বসে থাকে। তারপর নিজের মুখে হাত বুলিয়ে হাতে রক্ত দেখে চমকে ওঠে। তারপর সেই রক্ত দাকরিশ অ্যাম্বুলেন্সের সিটে মুছে ফেলার চেষ্টাও করে।
ওসামাব আবু আল-ইজ্জ নামে এক চিকিৎসক বার্তা সংস্থা এপিকে বলেছেন, শিশুটিকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে তার মাথায় বড় ধরনের কোনো জখম হয়নি। পরে শিশুটিকে হাসপাতাল হতে ছেড়েও দেওয়া হয়।
বিরোধী সিরিয়ান ন্যাশনাল কাউন্সিলের এক সদস্য মন্তব্য করেছেন, এই ছবিটি প্রমাণ করে সিরিয়ায় কি ভয়াবহতা বিরাজমান।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই আলেপ্পোতে সিরিয়ান বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে লড়াই চলছে। সহিংসতায় এ পর্যন্ত কয়েকশ’ মানুষ নিহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, সিরিয়া হতে ইউরোপে যাবার চেষ্টার সময় সমুদ্রে ডুবে মারা যায় শিশু আলান কুর্দি। তুরস্কের তীরে তার পড়ে থাকা আলান কুর্দির ছবিটি সারাবিশ্বকে হতবাক করে দেয়। এই ছবিটিও বিশ্ববিবেককে নাড়া দিয়েছে। তথ্যসূত্র: www.svt.se