দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ থাইল্যান্ডে একটি জঙ্গল হতে ১৩০ বাংলাদেশী দাসশ্রমিক উদ্ধার করা হয়েছে। দক্ষিণ থাইল্যান্ডের একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন খামারে বা মাছ ধরার কাজে এসব বাংলাদেশীকে ব্যবহার করছিল।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, বাংলাদেশীদের সেখানে ক্রীতদাসের মতো কাজ করানো হতো। দক্ষিণ থাইল্যান্ডের একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরেই এই কাজ করে আসছিল। সেখানকার খামারে বা মাছ ধরার কাজে এসব বাংলাদেশীকে দীর্ঘদিন যাবত ব্যবহার করা হচ্ছিল। বিবিসি’র বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে বাংলাদেশ নিউজ২৪।
ওই খবরে বলা হয়, অন্তত ১৩০ জন বাংলাদেশী পুরুষকে উন্নত চাকরির লোভে এখানে নিয়ে আসা হয়। মূলত এরা সবাই এক মানব পাচারের শিকার হয়েছেন। গত ১ সপ্তাহে এমন ১৩০ জন বাংলাদেশীকে উদ্ধার করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
উদ্ধারকৃতরা বলেছেন, বাংলাদেশ ছাড়ার পর তাদেরকে ওষুধ খাইয়ে, হাত-পা বেঁধে মানবেতরভাবে নৌকায় করে থাইল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই নৌকায় এমন প্রায় ৩শ’ জন ছিল। এরপর তাদেরকে থাইল্যান্ডের উপকূলে জঙ্গলের মধ্যে লুকানো কিছু ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয় ও দাসশ্রমিক হিসেবে বিক্রি করে দেওয়া হয়।
উদ্ধার হওয়া আবদুর রহিম নামে একজন বাংলাদেশী জানিয়েছেন, তাদের জঙ্গলে নিয়ে রাখা হয়েছিল। কোনও খাবার দেওয়া হয়নি। ১০ দিন তারা শুধুমাত্র পাতা খেয়ে কোনও মতে বেঁচে ছিলেন। থাই দালালরা তাকে এমনভাবে মারধর করেছে যে, এখনো তিনি খুঁড়িয়ে হাঁটেন। তাদেরকে খেত-খামারে বা মাছ ধরার নৌকায় দাসশ্রমিক হিসেবে কাজ করানো হতো বলে জানিয়েছেন ওই বাংলাদেশী। মানব পাচার রোধে কাজ করছেন এমন স্থানীয় এক কর্মকর্তা ৩ সপ্তাহ বন্দি থাকার পর এদের উদ্ধার করেন। আরও বহু নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
দেখুন উদ্ধারকৃতদের ভিডিও
http://www.youtube.com/watch?v=Bgw4VJflCFs