দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শিক্ষা খাতে আমুল পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। এই পরিবর্তনের অংশ হিসেবে বর্তমান পাস নম্বর ৩৩ থেকে বাড়িয়ে ৪০ করা হচ্ছে।
একদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের ছড়াছড়ি হয়ে পড়ছে অপরদিকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় গণহারে ফেলের সংখ্যা বাড়ছে। যে কারণে শিক্ষার মান নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাছাই প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
এক বিতর্ক শেষ না হতেই আবার পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে পাস নম্বর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বর্তমানে একটি বিষয়ে একশতে পাস নম্বর রয়েছে ৩৩। এই পাস নম্বর বাড়িয়ে ৪০ করা হতে পারে এমন কথা শোনা যাচ্ছে। তবে বিষয়টি এখনও পরিষ্কার করেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য দিয়েছেন। তবে তিনি আশ্বস্ত করে বলেছেন, সংশ্লিষ্ট সবার মতামত নিয়ে তবেই পাবলিক পরীক্ষায় পাস নম্বর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষা সচিব আরও বলেছেন, ‘দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে। এখন শতকরা ৯৮ জন স্কুলে ভর্তি হচ্ছে। পাসের হারও অনেক বেড়েছে, ভালো ফলের হারও ক্রমেই বাড়ছে। আর তাই আমাদেরও স্ট্যান্ডার্ড বাড়ানো দরকার।’
শিক্ষা সচিব বলেন, ‘পাস নম্বর ৩৩ পৃথিবীর কোনো দেশেই নেই। শিক্ষা পরিবারের সবাইকে নিয়েই সেমিনারের আয়োজন করা হবে। সেখানে সবার মতামত নিয়ে তবেই পর্যায়ক্রমে পাস নম্বর বাড়ানো হবে।’
এদিকে শিক্ষা সচিবের এই বক্তব্যের পর দেশজুড়ে এই বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে যে কাণ্ড ঘটলো, আবার পাসের নম্বর বাড়িয়ে আরেকটি কাণ্ড করার কোনও অর্থই হয় না।’