দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রাজধানীর পার্কগুলো যখন ময়লা আর আবর্জনায় পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় তিন মাসের এক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। আর তাই এই কর্মসূচির উদ্বোধনে গিয়ে পূর্তমন্ত্রী ঝাড়ু হাতে নিজেই নামলেন পার্ক পরিষ্কারে!
রাজধানীর সব পার্ক ও উদ্যানে টানা ৩ মাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে এসব পার্কে ময়লা-আবর্জনার কারণে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এমন এক পরিস্থিতিতে পার্ক ও উদ্যানগুলো পরিষ্কার রাখার জন্য সচেতন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। টানা ৩ মাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানোর পর যেখানে-সেখানে ময়লা ফেললে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। পরিচ্ছন্ন নগরী পেতে হলে সরকারের পাশাপাশি সর্বস্তরের নাগরিকদেরও এ ব্যাপারে সচেতন হওয়া দরকার।
গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি চলাকালে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এসব তথ্য তুলে ধরে বলেন, ‘পরিচ্ছন্নতা অভিযান আমরা হাতির ঝিল হতে শুরু করেছি। আজ চন্দ্রিমা উদ্যানের পর রাজধানীর বাকি পার্কগুলোতেও পর্যায়ক্রমে আমাদের এই সচেতনতামূলক অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।’ তিনি বলেন, ‘চন্দ্রিমা উদ্যানে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে প্রতিদিন শত শত মানুষের আগমন ঘটে থাকে। অথচ লেকের পাড়ে বসে বিশ্রাম নেওয়ার সময় খাবার খেয়ে উচ্ছিষ্ট অংশ ময়লা-আবর্জনা পানিতে ফেলে। পাশে থাকা ডাস্টবিন কখনও দর্শনার্থীদের নজরে আসে না। সবার সুবিধার্থে অত্যাধুনিক ডাস্টবিন উদ্যানের বিভিন্ন স্থানে বসানো রয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ডাস্টবিনগুলো অল্প সময়ের মধ্যে চুরি হয়ে গেছে। তাই আমরা এবার স্থায়ীভাবে পাকা ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করেছি।’
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘রাজধানী ঢাকায় প্রায় ২ কোটি মানুষের বসবাস। এ শহরের পরিচ্ছন্নতার বিষয়টিতে সবাই সমানভাবে গুরুত্ব না দিলে সরকারের একার পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যত্রতত্র ময়লা ফেললে জরিমানার বিধান আছে। তাই আমরাও তিন মাস সচেতনতামূলক প্রচরণা চালানোর পর আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানার ব্যবস্থা করবো।’ গণপূর্তমন্ত্রী সিঙ্গাপুরে যেখানে-সেখানে ময়লা ফেললে ৫০ ডলার জরিমানার কথা উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, আমাদের দেশের বিশেষ করে রাজধানী ঢাকার পার্ক ও উদ্যানগুলোতে যত্রতত্র ময়লা ফেলার কারণে পার্কগুলোর পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। কর্মব্যস্ত জীবনে কিছু সময়ের জন্য গাছ-গাছালির মনোরম পরিবেশের সুখ পেতে পার্কে গেলে ময়লা-আবর্জনার কারণে সুষ্ঠু পরিবেশ কখনও বজায় থাকছে না। যেকি কারও জন্যেই কাম্য নয়। আর তাই পার্ক ও উদ্যান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার সরকারি এই উদ্যোগের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা জরুরি। মাননীয় মন্ত্রী’র এই উদ্যোগে তাই সবাই সাধুবাদ জানিয়েছেন।