দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভোটার আইডি কার্ডকে বহুমুখি ব্যবহারের জন্য ন্যাশনাল আইডি কার্ড হিসেবেই ব্যবহার হয়ে থাকে। কিন্তু অনেকেই এই কার্ডকে যথেচ্ছা ব্যবহার করেন। গুরুত্বপূর্ণ হলেও অবজ্ঞা করে থাকেন। আর তাই প্রায়ই কার্ড হারানোর মতো ঘটনা ঘটে। নির্বাচন কমিশন বলেছে, এখন থেকে ন্যাশনাল আইডি কার্ড হারালেই ‘জরিমানা’ গুণতে হবে!
সবদিক বিবেচনায় এনেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন ইসি। কারণ অহরহ কার্ড হারানো ঘটনা সামনে আসছে। কারণে-অকারণে জনসাধারণ অবজ্ঞাবশত: হারানোর মতো কাণ্ড ঘটাচ্ছেন। জাতীয় পরিচয়পত্র (ন্যাশনাল আইডি) নবায়ন, হারানো কিংবা সংশোধন করতে এতোদিন কোনো ফি না লাগলেও আগামী জানুয়ারি হতে এর নির্দিষ্ট অংকের ফি নেওয়ার বিধান করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো: সালেহউদ্দিন এই সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব কমিশন বৈঠকে উত্থাপন করেছেন। তবে এই বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি নির্বাচন কমিশন। পরবর্তী বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
প্রস্তাবনায় রয়েছে, ফি গ্রহণ করার আগে ডিসেম্বরের মধ্যে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তিও হবে। এর মধ্যেই আপডেট সফটওয়ার প্রস্তুত করতে হবে। সচেতনতা বাড়াতে ব্যাপকভাবে প্রচারণা চালাতে হবে। চুক্তির আগে কয়েকটি ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনাও করা হবে। যেসব ব্যাংকের উপজেলা এবং থানা পর্যায়ে শাখা রয়েছে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। চার্জ বা ফি গ্রহণে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন বিধিমালা-২০১৪ বিধি-৮ অনুসারে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রথম নবায়নে সাধারণ নেওয়া হবে ক্যাটাগরিতে ১শ’ টাকা। তবে জরুরি ক্যাটাগরিতে ১৫০ টাকা ফি দিতে হবে।
অপরদিকে হারানো বা নষ্ট হওয়ার কারণে নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে হলে প্রথম আবেদনে সাধারণ ক্যাটাগরিতে ২শ’ টাকা, জরুরি ভিত্তিতে পেতে হলে ৩শ’ টাকা। দ্বিতীয়বার আবেদনের ক্ষেত্রে সাধারণে ৩শ’ টাকা, জরুরি ভিত্তিতে ৫শ’ টাকা দিতে হবে। পরবর্তী প্রতিবার (একাধিকবারের ক্ষেত্রে) আবেদনে সাধারণে ৫শ’ টাকা এবং জরুরি ভিত্তিতে ১ হাজার টাকা ফি গুণতে হবে।
সেই ফি নির্বাচন কমিশন সচিবের অনুকূলে পে-অর্ডার অথবা ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে কিংবা কমিশন কর্তৃক নির্দিষ্ট নম্বরে মোবাইল ব্যাংকিং বা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেও পরিশোধ করা যাবে।