দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সৌদি আরব বিদেশি শ্রমিকদের ইকামার মেয়াদ ৫ বছর করতে যাচ্ছে। বিষয়টি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি আরবে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ইকামা না দেওয়া এবং ইকামা দিলেও খুব কম সময়ের জন্য ইকামা দেওয়ায় বাংলাদেশের শ্রমিকরা বেশ সমস্যায় পড়েন। ২০০৯ সাল হতে সৌদিতে বাংলাদেশী শ্রমিকদের কাজের অনুমতিপত্র পরিবর্তনের সুযোগ বন্ধ থাকায় জনশক্তি রপ্তানিও প্রায় বন্ধ রয়েছে। সরকারীভাবে এ বিষয়গুলো নিয়ে বহুবার দেন-দরবার হয়েছে। তবে সৌদি সরকার তাদের নীতির কিছুটা পরিবর্তন আনতে যাচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে। এতে করে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ উপকৃত হবে। এখন থেকে সৌদি আরব সেদেশে কর্মরত বিদেশি শ্রমিকদের অবস্থানের অনুমতিপত্রের (যাকে বলা হয় ইকামা) মেয়াদ এক বছর হতে বাড়িয়ে ৫ বছর করতে যাচ্ছে। বিষয়টি বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তবে ঠিক কবে থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে সে বিষয়ে এখনও সুনির্দিষ্টভাবে জানানো হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার গালফ নিউজ-এর এক খবরে এমন আভাস দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে সৌদিতে বসবাসরত প্রবাসী কর্মীরা নির্দিষ্ট ফি দিয়ে মাত্র এক বছরের ইকামা পান। বছর শেষ হলে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দিয়ে তা আবার নবায়ন করতে হয়। এভাবে বছর বছর ইকামা নবায়ন করতে বেশির ভাগ শ্রমিকের জন্যে আর্থিকভাবে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। নতুন পদ্ধতি চালু হলে বিদেশি শ্রমিকেরা আর্থিক ও মানসিক চাপ হতে অনেকটা রেহাই পাবেন। কারণ সৌদি আরবে এখন প্রায় ৯০ লাখ বিদেশি কর্মরত রয়েছেন। এদের অধিকাংশই এশিয়ার। তাছাড়া বিদেশি শ্রমিকদের সংখ্যা দেশটির মোট জনসংখ্যার একুতৃতীয়াংশ।
বাংলাদেশীসহ প্রবাসীরা দীর্ঘদিন ধরেই ইকামা পরিবর্তনের এই সুযোগের জন্য দাবি করে আসছিলেন। সৌদি সরকারের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে অনেক বাংলাদেশীও সেখানে ভালো কাজের সুযোগ পাবেন।
উল্লেখ্য, সৌদি আরবের পাসপোর্ট অফিস ইকামার মেয়াদ ৫ বছরে উন্নীত করার বিষয়সংক্রান্ত সকল কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। তবে কবে নাগাদ তা শুরু হবে কিছুই বলা হয়নি। তবে সৌদি পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে স্থানীয় দৈনিক আল মদিনা বলেছে, শীঘ্রই নতুন ইকামা চালু হবে।