দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক ব্যক্তিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত ঘোষণার সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর আবার জীবিত হয়েছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোগীর মৃত্যু। ডেথ সার্টিফিকেটসহ আনুষঙ্গিক বিষয় সম্পন্ন করতে সময় পার হয়েছে সাড়ে ৩ ঘণ্টা। অজ্ঞাতপরিচয় হওয়ায় ওই রোগির ডেথ সার্টিফিকেটে ‘পুলিশ কেস’ উল্লেখ করে লাশ মর্গে হস্তান্তরের প্রক্রিয়াও শুরু।
মর্গের ওয়ার্ডবয় ওয়ার্ড হতে লাশ ট্রলিতেও উঠিয়েছেন। এ সময় ঘটলো ঘটনাটি। উপস্থিত সবাইকে হতবাক করে মৃত ব্যক্তি নড়েচড়ে উঠলেন। তখন শুরু হয়ে গেলো মৃত ঘোষণা করা কর্তব্যরত চিকিৎসকের লম্ফঝম্ফ। খবর বাংলাদেশ নিউজ২৪ ডট কমের।
শেষ পর্যন্ত সাড়ে ৩ ঘণ্টা আগে মৃত ঘোষণা করা অজ্ঞাতপরিচয় ওই নারীর শরীরে চিকিৎসকের নির্দেশে স্যালাইন পুশ করা হলো। ঘটনাটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮০২ নম্বর ওয়ার্ডের ৭ নম্বর ইউনিটে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা হতে সাড়ে ৫টার ঘটনা। এক শিহরণ জাগানো এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন ওই ইউনিটে চিকিৎসা নেওয়া রোগীসহ তাদের অন্যান্য আত্মীয় স্বজনরা।
এই ঘটনা শোনার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান দায়ী চিকিৎসকের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের ফুটপাত পরিষ্কার করার সময় সেখান হতে অজ্ঞাতপরিচয় ৪৫ বছরের এক নারীকে উদ্ধার করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান। তার তত্ত্বাবধানে ওই নারীকে ৮০২ নম্বর ওয়ার্ডের ৭ নম্বর ইউনিটে ওই দিনই ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারীকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।