দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্যতিক্রমি সাধকদের কাহিনী আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। এই সাধরা মৃত মানুষের মাংস খাওয়ার মতো গর্হিত কাজ করছেন।
কথায় আছে যে, লজ্জা, ঘৃণা ও ভয়, এ তিনটি জিনিস সাধকদের থাকতে নাই। এই কথাটি বিশ্বাসও করেন শিব ও কালীর উপাসকরা। তারা নোংরামির মধ্যেই নাকি পুণ্যের সন্ধান পান। লজ্জাকে ঢেকে রাখতে নামমাত্র একটুকরো কাপড় জড়িয়ে রাখেন, কখনও কখনও আবার তাও বর্জন করেন। তাদের সারা গায়ে মাখা থাকে শুধুই ছাই আর কাদা।
সাধারণত দেখা যায়, লম্বা চুল ও কালো পোশাকের এ সাধকদের পছন্দের সাধনার জায়গার স্থান হলো শ্মশান। তবে হিমালয়ের গুহা‚ সুন্দরবনের জঙ্গল অথবা মরুভূমিও তাদের পছন্দের স্থান।
এসব সাধুরা বিশ্বাস করেন যে‚ কালী সাধনায় প্রয়োজন মাংস ও যৌনতা। আবার মাংসতে কোনো বাছবিচার থাকলেও নাকি চলবে না। তাই মৃতদেহের মাংস খান এই সাধকরা। তাও কাঁচা আবার কখনও পুড়িয়ে খান। তারপর আবার সেই দেহের উপর বসে চলে সাধনাও। আবার শোনা যায়, কোনো কোনো সময় ওই দেহের সঙ্গেও নাকি ‘মিলিত’ হন তারা।
শুধু এমন কর্মেই ক্ষান্ত থাকেন না, তারা ক্ষুধা পেলে নির্দ্বিধায় খেয়ে ফেলেন মানুষের বর্জ্যও! আবার শ্মশানের পাশে বসে একই সঙ্গে খাবার ভাগ করে খান কুকুর বিড়াল কিংবা অন্য প্রাণীর সঙ্গেও। এর কারণ তাদের দর্শন হলো‚ মনে ঘেন্না থাকলে ঈশ্বর চিন্তা নাকি সম্পূর্ণ হয় না। কেবল ঘেন্নার বেড়াজাল অতিক্রম করতে পারলেই সাধনায় মিলিত হওয়া যায় আরাধ্যের। তখন তাদের দীর্ঘ সাধনা নাকি সফল হয়। এমনই এসব সাধকদের ধারণা।
উপরোক্ত ঘটনাটির সত্য-মিথ্যা যায়ই হোক না কেনো মানুষ মানুষের মাংস খাবে এটি শুনতেও যেনো গা শিউরে ওঠে।