দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পাকিস্তানে তালেবান হামলার ঘটনায় নবম শ্রেণীর সব শিক্ষার্থীর মৃত্যু ঘটলেও সেদিন ঘড়ির সংকেত বাঁচিয়ে দিয়েছে নবম শ্র্রেণীর একমাত্র ছাত্র দাউদের জীবন!

ঘড়ির সংকেত অনেক সময় আমাদের বেকায়দায় ফেলে। ঘড়ির সংকেতের কারণে নির্ধারিত কাজও করা সম্ভব হয়। কিন্তু গত শনিবার পাকিস্তানের পেশোয়ারে সেনাবাহিনীর স্কুলে হামলার ঘটনায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন নবম শ্রেণীর ছাত্র দাউদ। তার ঘড়িটি সেদিন সংকেত দেয়নি। আর তাই স্কুল মিস করে দাউদ। কিন্তু কে জানতো ঘড়ির সংকেতের কারণে তার জীবন রক্ষা হবে?
তাই ঘটেছে সেদিন পাকিস্তানের পেশোয়ারে স্কুলে। তালেবানদের হামলায় সেদিন নিহত হয়েছে ১৪১ জন। এদের মধ্যে আবার ১৩২ জনই ছিল শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে আবার নবম শ্রেণীর সবাই মৃত্যুবরণ করেছে। অর্থাৎ নির্ধারিত একটি কক্ষের সবাইকে নির্মমভাবে হত্যা করে তালেবানরা। যেখানকার সবাই ছিল নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলো দাউদ। ১৫ বছর বয়সী সৌভাগ্যবান এই পাকিস্তানী শিক্ষার্থীর সকালবেলা ঘড়ির সংকেত কাজ না করায় সেদিন আর স্কুলে যাওয়া হয়নি তার।
তবে সহপাঠীদের এই নির্মমতায় দাউদ হতবিব্হল হয়ে পড়েছেন। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম বলেছে, দাউদ বেঁচে গেলেও নীরব নিস্তব্ধ হয়ে পড়েছেন। এর কারণ হলো সহপাঠীদের কথা সে কিছুতেই ভুলতে পারছেন না। সকাল হলেই স্কুলে গিয়ে যাদের সঙ্গে দিন কাটে তাদের আর দেখতে পাবেন না এটি যেনো দাউদের কাছে স্বপ্ন মনে হচ্ছে। তার মনে হচ্ছে, হয়তো পুরোটি তার স্বপ্ন। স্বপ্ন ভাঙলেই হয়তো দেখবেন কিছুই হয়নি। আবার স্কুলে গিয়ে বন্ধুদের দেখা পাবেন!