দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আবার চালু হয়েছে ভাইবার-হোয়াটস অ্যাপ। যে কারণে আবার স্বাভাবিক হয়েছে ওয়েবসাইটগুলো। গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে এগুলো বন্ধ থাকায় ওয়েবসাইটসহ বেশ কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা দেখা দেয়।
ভাইবার ও ট্যাঙ্গোসহ সামাজিক যোগাযোগের ৫টি ভয়েস এবং মেসেজিং সেবা সরকার খুলে দিয়েছে। গতকাল বুধবার রাত ১২টা হতে এসব সেবা খুলে দেওয়া হয়।
একাধিক মুঠোফোন কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, সরকারের কাছ হতে নতুন কোনো নির্দেশনা না আসায় এসব সেবা খুলে দেওয়া হয়েছে।
গত রবিবার হতে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে কথা বলা এবং খুদেবার্তা পাঠানোর জনপ্রিয় অ্যাপস ভাইবার ও ট্যাঙ্গো বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রথম দফায় রবিবার রাত পর্যন্ত ভাইবার এবং ট্যাঙ্গো বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে সময়সীমা গতকাল বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। ভাইবার এবং ট্যাঙ্গো বন্ধ করার পরদিনই সোমবার হোয়াটসঅ্যাপ, মাইপিপল ও লাইন নামের আরও ৩টি ভয়েস এবং মেসেজিং সেবা বন্ধ করে সরকার।
বিটিআরসি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, বিনা খরচে কথা বলা এবং নিজেদের অবস্থান গোপন রেখে কথা বলার জন্য নাকি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা সাম্প্রতিক সময়ে যোগাযোগের জন্য ভাইবার ব্যবহার করে থাকেন। এমনকি নাশকতার কাজেও প্রয়োজনীয় যোগাযোগ করা হচ্ছে ভাইবার ব্যবহার করে। এ ব্যাপারে আইনশৃংখলা রাক্ষাকারীদের কাছে তথ্য রয়েছে।
এমন এক পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেবা দুটি বন্ধে বিটিআরসির সহায়তা কামনা করে। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিটিআরসি হতে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয় মুঠোফোন কোম্পানি এবং আইজিডব্লিউগুলোর নিকট। সে অনুযায়ী শনিবার রাত হতেই ভাইবার ও ট্যাঙ্গো সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, বিটিআরসির এ সিদ্ধান্তে বিভিন্ন অনলাইন, ফেসবুকসহ সামাজিক বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ব্যবহারকারীরা। বাংলাদেশে ভাইবার বন্ধ হওয়ার খবর ইতিমধ্যে এএফপি, দ্য গার্ডিয়ান এবং দ্য হিন্দুসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করা হয়।