দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারত-বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে সামপ্রতিক সময়ে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে গেছে। আর এসব ধর্ষণ রোধে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো বেশ কিছু পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে বাসের মধ্যে মেডিক্যাল ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার পর সেদেশের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার টনক নড়ে। তাই এবার ভারতে আবিষ্কার করা হয়েছে ধর্ষণ প্রতিরোধী এক বিশেষ ধরনের অন্তর্বাস। খবর দ্য টেকজার্নাল।
ভারতে এই ধর্ষণ রোধে ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ধর্ষণের আসামীর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করে আইন সংশোধন করা হয়েছে। ভারতের একটি রাজ্যে স্কুল-কলেজের ছাত্রীদের বোরখা পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একটি ঘড়ি আবিষ্কার করা হয়েছে, যে ঘড়ি একজন মেয়ে যদি কোন পুরুষ দ্বারা আক্রান্ত হয়ে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে মেসেজ দেওয়া হবে। এমন অনেক পদক্ষেপের মধ্যে এবার নতুন এক আবিষ্কার আবার মানুষের মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্থির সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। আর তা হলো মেয়েদের অন্তর্বাস।
কি ধরনের অন্তর্বাস এটি
এই অন্তর্বাসের বিশেষ গুণ হচ্ছে এটি আক্রমণকারীকে ইলেকট্রনিক শক দিতে সক্ষম! শুধু তাই নয় আক্রান্ত হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সাহায্যের জন্য পুলিশের ‘সার্বক্ষণিক হেল্প নাম্বারে’ মেসেজও চলে যাবে। প্রকৌশলবিদ্যায় অধ্যয়নরত একদল শিক্ষার্থী সম্প্রতি এই বিশেষ অন্তর্বাস আবিষ্কার করেন। তারা জানিয়েছেন, এটি তিন হাজার ৮০০ কিলোভোল্ট পর্যন্ত শক দিতে সক্ষম!
বিশেষ এই পোষাকটির আবিষ্কারক প্রকৌশলবিদ্যার শিক্ষার্থী মনিষা মোহন সংবাদ মাধ্যমকে জানান, “পোষাকটিতে একইসঙ্গে জিপিএস ও জিএসএম প্রযুক্তি সংযোজন করা হয়েছে। তাছাড়া এটি তিন হাজার ৮০০ কিলোভোল্ট শক দিতে সক্ষম।”
কিভাবে আক্রমণ রোধ হবে
“প্রেসার সেন্সর চালু থাকা অবস্থায় কোন মেয়েকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করা হলে প্রথমে ওই ব্যক্তি একটি শক খাবে। তারপর জিপিএস এবং জিএসএম মডিউলের মাধ্যমে ইমার্জেন্সি নাম্বারে এসএমএস চলে যাবে। একইসঙ্গে মেয়েটির অভিভাবকের কাছেও বার্তা পৌঁছে যাবে।
আক্রমণকারীরা সাধারণত প্রথমে নারীদেহের যে অঙ্গে আঘাত করে সেখানেই রাখা হয়েছে শক সার্কিট বোর্ডটি। ভারতের প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘টেক ইন্ডিয়ায়’ এই বিশেষ ডিভাইসটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
এই বিশেষ অন্তর্বাসটির কারণে বহু মেয়ে ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা পাবে বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন।