দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষের সঙ্গে মানুষের বন্ধুন্ধত্ব হয়। কিন্তু পশুর সঙ্গে মানুষের বন্ধুত্ব খুব কম দেখা যায়। এবার এমনই একটি গল্প শোনা গেলো। সিংহের সঙ্গে মানুষের এক বিরল বন্ধুত্বের গল্প।
মানুষের সঙ্গে মানুষের বন্ধুত্ব আমরা সহসায় দেখে থাকি। কিন্তু পশুদের সঙ্গে বন্ধুত্ব কদাচিত আমাদের চোখে পড়ে। তবে এবার শোনা গেলো সিংহের সঙ্গে মানুষের বন্ধুত্বের এক বিরল কাহিনী। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো সিংহের মতো এমন হিংস্র একটি জন্তু মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্বের প্রতিদান দিতে গিয়ে নিজের সত্তাকেই যেনো সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করে ফেলেছেন। বন্ধুর আরও কাছাকাছি থাকতে গিয়ে নিজেকে পুরোপুরিভাবে পাল্টে ফেলেছেন ওই সিংহটি। হুংকার ও গর্জন করার যার স্বভাব সেই সিংহ বন্ধুত্বের জন্য যেনো এক নীরিহ জন্তুতে পরিণত হয়েছে।
তবে এই প্রেম বা বন্ধুত্বর পেছনে একটা কাহিনী লুকিয়ে আছে। ৩ বছর আগে জার্মানির সংরক্ষক ভ্যালেটিন গ্রুয়েনার কুড়িয়ে পায় এক সিংহী শাবককে। বটসওয়ানা মরুভূমির উত্তপ্ত পরিবেশে মৃত্যুর মুখে পড়েছিল ওই শাবকটি।
গ্রুয়েনার তাকে তুলে নিয়ে যান মডিসা অভয়ারণ্যে। নিজের হাতে সযত্নে সেবা-শুশ্রুষা করে প্রাণ বাঁচান শাবকটির। আর সেই থেকেই শুরু হয় তাদের গভীর বন্ধুত্ব। ভ্যালেনটিন শাবকটির নাম দিয়েছেন সিরগা।
সিরগাকে শিকার করতে শেখানো, অন্য বন্য প্রাণীদের সঙ্গে বসবাস করতে শেখানো এমন সব ধরনের শিক্ষা দিচ্ছেন ভ্যালেনটিন গ্রুয়েনার।
সেই শাবক সিরগা এখন যুবতী। ১৪০ কেজি ওজনের বিশাল দৈর্ঘ্যের সিংহী সিরগাকে নিয়ে তৈরি হতে চলেছে একটি তথ্যচিত্রও। সিরগার জীবনের এসব অভিজ্ঞতা নিয়েই মূলত তৈরি করা হবে তথ্যচিত্রটি। তবে এখন ইউটিউবসহ গণ মাধ্যমে সিরগা ও ভ্যালেনটিনের বন্ধুত্বের খবর ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বময়।
দেখুন সিংহ-মানুষের বন্ধুত্বের নমুনা