দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জাইকার সহায়তায় ৬৪ কিলোমিটার গ্যাস পাইপলাইন স্থাপনের কাজ চলছে। ধনুয়া হতে এলেঙ্গা পর্যন্ত ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের প্রায় ৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পাইপলাইন স্থাপন হচ্ছে।
এই গ্যাসলাইন সম্প্রসারণে সহযোগিতা দিচ্ছে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)। জাইকার অর্থে ধনুয়া হতে এলেঙ্গা পর্যন্ত ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের প্রায় ৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইন স্থাপন হচ্ছে। যে কারণে দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদার বিপরীতে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভবপর হবে। সেই সঙ্গে বিদ্যমান এবং নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্র, সার কারখানা ও অন্যান্য কারখানায় নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৭৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে জাইকা দিচ্ছে ৫০৭ কোটি ১ লাখ টাকা। সরকারের নিজস্ব তহবিলে ৪৬৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা ও গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের নিজস্ব তহবিল হতে ব্যয় করা হবে ৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।
সংবাদ মাধ্যমকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় বলেছে, যমুনা সেতুর পশ্চিম পাড়ের-নলকা-হাটিকুমরুল-ঈশ্বরদী-ভেড়ামারায় ৩০ ইঞ্চি ব্যাস সম্পন্ন ১০১ কিলোমিটার পর্যন্ত উচ্চচাপ গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন স্থাপন মূল প্রকল্পের অংশ থাকলেও। বৈদেশিক সহায়তার অভাবে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্ত হতে নলকা পর্যন্ত উচ্চচাপ গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইনের কাজ সমাপ্ত করা সম্ভব হয়নি। যে কারণে ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের ৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইন নির্মাণ করে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধির জন্যে প্রকল্পটির প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি অনুমোদন পেলে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর, ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা, টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর এবং কালিহাতি ও সিরাজগঞ্জ জেলার সয়দাবাদ, সিরাজগঞ্জ সদর, কামারখন্দ এবং রায়গঞ্জ উপজেলায় আগামী ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।